আপনজন ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ কিডনি রোগী ছাড়া অন্যরা কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে নিরাপদেই রমজান মাসে রোজা রাখা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগীর কথা উল্লেখ করা হলো। তবে সব ধরনের কিডনি রোগী রোজা রাখার আগে অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে রমজান মাসে রোজা রাখলে সেটা বরং একিউট কিডনি ইনজুরির ঝুঁকি কমায়, বিশেষ করে যাঁদের অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রোজা গুরুত্বপূর্ণ হারে ঝুঁকি কমায়। যদিও এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি এবং বড় আকারে আরো গবেষণা প্রয়োজন। এটা প্রমাণিত যে কম প্রস্রাব হওয়া এবং ডিহাইড্রেশন কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। যাঁদের কিডনিতে আগে পাথর হয়েছে অথবা যাঁরা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে আছেনতাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের প্রস্রাবের পরিমাণ দুই লিটারের কম না হয়। ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীবিশেষ করে যাঁরা স্টেজ-৩ থেকে স্টেজ-৫ সিকেডিতে আক্রান্ত, তাঁদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহ করা হয়। ডায়ালিসিস নিচ্ছেন এ ধরনের কিডনি রোগীদের ওপরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, যেসব রোগী ডায়ালিসিস নিয়ে রোজা রাখেননি তাঁদের তুলনায় ডায়ালিসিস নেওয়া সত্ত্বেও যাঁরা রোজা রেখেছেন, তাঁদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ফসফেট, ইউরিয়া তিনটিই কমে গিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct