জয়প্রকাশ কুইরি,পুরুলিয়া,আপনজন: মানসিক চাপ আর সহ্য করতে পারলেন না ,একদিকে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বন্ধু খুনের স্মৃতি অন্যদিকে পুলিশের প্রবল চাপে অবশেষে মানসিক অবসাদের জেরে নিজেকে শেষ করে দিলেন ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুলে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণব।বুধবার সকালে তাদের পরিবারের একটি বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা নিয়ে আবার সিবিআই তদন্তের দাবি দাবি তুলেছে কংগ্রেস। গত ১৩ ই মার্চ অন্যান্য দিনের মতোই দুই বন্ধু তপন কান্দু ও নিরঞ্জন বৈষ্ণব বেরিয়েছিলেন খানিকটা হাঁটাচলা করতে আর সেই সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে আগত তিনজন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন তাপন কান্দুর মাথায় গুলি করে আর সেই গুলিতে তার মৃত্যু হয়।চোখের সামনেই সেসব কান্ড দেখেছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। পরে তার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ খুনির স্কেচ তৈরি করে। কিন্তু এই প্রত্যক্ষদর্শীর মানসিক অবস্থার খোঁজ রাখেন নি কেউ। মৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ছত্রে ছত্রে লেখা রয়েছে তার মানসিক বিপর্যয়ের কথা।প্রথমত একজন সাধারন মানুষের চোখের সামনে কোন খুনের ঘটনা ঘটলে তার অবচেতনে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সেই আতঙ্ক তাকে ঘুমাতে দেয়নি, খেতে দেয়নি, দ্বিতীয়ত যেহেতু তিনি প্রত্যক্ষদর্শী তাই পুলিশ তাকে ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অতি নিরীহ প্রকৃতির এই মানুষটি কখনো থানায় যাননি , পুলিশের মুখোমুখি হননি। ফলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় আরও বেশি আতঙ্ক বেড়ে যায়। আসলে তার মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল বলছেন অনেকে। বুধবার দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct