নকিব উদ্দিন গাজী,ডায়মন্ড হারবার,আপনজন: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর এলাকার হতদরিদ্র যুবক শ্যামল কান্তি হালদার সর্প প্রেমী হিসেবে ইতিমধ্যে মানুষের কাছে খ্যাতি লাভ করেছে। যার একমাত্র কাজ কোথাও সাপ দেখা গিয়েছে শুনলেই ছুটে যাওয়া, এলাকাবাসীকে সাপ মারতে না দিয়ে সেই সাপকে বাড়িতে নিয়ে এসে সেবা-শুশ্রূষা করে ক্ষতস্থানে ওষুধ দিয়ে এবং প্রতিদিন বাজার থেকে মাছ কিনে খাইয়ে পরবর্তীকালে একসময় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া,অথবা বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া।
আজ সকালে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়ে-নম্বর ঘেরি এলাকায় একটি বিষাক্ত সাপকে দেখে এলাকাবাসী শ্যামল কান্তি হালদারকে ডেকে পাঠায়। শ্যামল বাবু আসার আগেই সাপের গায়ে কয়েক ঘা লাঠিপেটা করে এলাকাবাসী। তবে শ্যামল বাবু পৌঁছে মানুষকে বুঝিয়ে লাঠিপেটা থেকে উদ্ধার করে আহত সাপটিকে। পরবর্তীকালে দেখা যায় আরও ৩টি সাপ বাড়ি থেকে নিয়ে দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাগীর মোড় এলাকায় ১২ নম্বর ধ্বসকুল নদীর ধারে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। তবে ছাড়ার আগে বেশ কয়েকটি সাপকে মাছ খাওয়াতে দেখা যায় শ্যামল বাবুকে।
শ্যামল কান্তি হালদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিজের দুটি মেয়েকে বিয়ে দেবার পর সাপকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। তাদের কেউ মারছে দেখলে আঁতকে ওঠেন। কোথাও কোথাও সাপ আনতে গেলে মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয় সাপ নিয়ে কি করবে বিক্রি করে দেবে নাতো ? তাদেরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সাপগুলি বাড়িতে আনে। তাছাড়া মাঝেমধ্যে বিষাক্ত সাপের ছোবল খেতে হয় সেগুলো নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে সোজা ওদের কাছে না গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন শ্যামল বাবু। সেবা-শুশ্রূষা করার পরেই সাপগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে রামগঙ্গা রেঞ্জের রেঞ্জার অসীম দন্ডপাতের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে মাঝেমধ্যে সাপ তুলে দেয় শ্যামল বাবু। তবে শ্যামল বাবুর মত প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত বলেও তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি সামাল বাবুকে ধন্যবাদ জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct