আপনজন ডেস্ক: কিছু উইঘুর শরণার্থীর নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ । কিছু উইঘুর জানায়, তাদেরকে বলা হয়েছে যে, তুরষ্কের “জাতীয় নিরাপত্তা” বা “সামাজিক শৃঙ্খলা”র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে তাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনে তুর্কি দূতাবাসের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা কিছু বলেনি। প্রতিশোধমূলক হামলার আশংকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি অধিকার গোষ্ঠী জানায়, গত বছর প্রায় ৮হাজার উইঘুর তুরষ্কের নাগরিক হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই চীন থেকে এসেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার উইঘুর তুরষ্কে পালিয়ে গিয়েছে।অধিকার গোষ্ঠীগুলি জানিয়েছে, জিনজিয়াং-এ চীনা সরকার উইঘুর ও কাজাখদের মতো স্থানীয় তুর্কি জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন তুর্কি জনগণ উইঘুরদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তুর্কিসহ ১৮টি উইঘুর মামলা পরিচালনা করা আঙ্কারার তুর্কি মানবাধিকার আইনজীবি ইলিয়াস ডোগান বলেন, উইঘুর এবং তুর্কি জনগণ জাতিগতভাবে সম্পর্কিত এবং সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগতভাবে উভয়ের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। ২০০৯ সালে জিনজিয়াং-এর রাজধানী উরুমাকিতে উইঘুর নেতৃত্বাধীন একটি বিক্ষোভে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছিল। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান উইঘুরদের প্রতি বেইজিং-এর আচরণকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct