নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: নাম ঠিকানাহীন এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কাটাচ্ছে দিন।যদিও যুবকটি অস্পষ্ট ভাষায় নিজের নাম বলেছেন জসিমুদ্দিন। প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকে এসেছে। বাবা মা কেউ বেঁচে নেই।আদৌ এই নাম ও ঠিকানা কি সঠিক? তা অনেকের মধ্যে এই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জানা যায় খোলা আকাশের নীচে তার ঠাঁই। উস্কোখুস্কো চুল ও নোংরা জামা কাপড় পরিধান করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ও দোকান ঘুরে ঘুরে একমুঠো আহার সংগ্রহ করে। লোকের দয়ায় তার একবেলা আহার জুটলেও চিকিৎসার অভাবে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারেনা। চোখ দিয়ে শুধু অঝরে জল ঝরে পড়ে। কোনো স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা কিংবা কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসলে সে হয়তো ফিরে পেতে পারে তার পূর্বের স্বচ্ছল জীবন ও পরিবার পরিজনকে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের এক বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা ওরফে মালেক জানান দীর্ঘ এক মাস ধরে ভবানীপুর ব্রিজ মোড় সংলগ্ন এলাকায় তাকে দেখা যায়।সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারে না।রাস্তার ধারে কিংবা কারো দোকান ঘরের চালের নিচে তার রাত কাটে। গ্রীষ্ম,বর্ষা ও শীত তার কাছে কোনো তফাৎ নেই। গায়ে ছেঁড়া কাপড় পরিধান করে খালি পায়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়।এলাকার লোকজনেরা তার খাবার ব্যবস্থা করে দেয়। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি পাবে কি কোনো সংকারি চিকিৎসা? ফিরে পাবে কি তার পরিবার পরিজনকে?এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শত শত জনসাধারণের মনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct