মোল্লা মুয়াজ ইসলাম,বর্ধমান,আপনজন: বর্ধমান কিংবা বর্ধমান - আরামবাগ রোডে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। এই দুটি রাস্তা যেন মৃত্যু ফাঁদ পেতে বসে আছে। কয়েক মাসে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা যায়, এই দুই রাজ্য সড়কে কয়েক মাসে অনেকগুলি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। যেহেতু এই রাজ্য সড়ক দুটি জেলার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, জামসেদপুর, আরামবাগ সহ অনেক রুটের বাস এই সড়কে চলাচল করে। পাশাপাশি এই এলাকায় একাধিক বালি খাদ থাকার জন্য রাস্তার চাপ প্রবল। অন্যদিকে রাস্তার দুধারে বালি ও নির্মাণ কাজের সামগ্রীতে অনেক জায়গা ক্রমশ সংকুচিত হওয়ার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে বলে মত তাদের। এছাড়া, বর্ধমান - আরামবাগ রোডের মতো বাঁকুড়া - বর্ধমান রোডেও বিশেষত বালির লরির চাপে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হয়। খণ্ডঘোষের কাঁটাপুকুর থেকে বাঁকুড়া মোড় অবধি রাস্তায় কয়েক ঘন্টা আটকে থাকে বাস।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, অগ্রিম সময় নিয়ে না বেরোলে পৌঁছানো যায় না। এই দুর্ভোগ আর কতদিন পোহাতে হবে জানি না। শুধু নিত্যযাত্রী নয় এই রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী মানুষরাও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন বলে জানান। দুর্ঘটনা রুখতে জেলা পুলিশ প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের দাবি, সচেতনতাই একমাত্র পথ। খণ্ডঘোষ থানার পক্ষ থেকে জানা গেছে, ছটি সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি নজরদারিও চালানো হচ্ছে। ডিএসপি ট্রাফিক অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ দুর্ঘটনা রুখতে ওইসব রাস্তায় যানবাহনের গতিবিধি সহ বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct