আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে রাশিয়ার বাহিনী। একইসঙ্গে বিভিন্ন বেসামরিক শহরে আক্রমণ জোরদার করেছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর শনিবার পর্যন্ত টানা ১৭ দিনের মতো দেশ দুইটির মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটেনের গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বেশিরভাগ রুশ সেনা এখন কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট ছোট কিছু অগ্রবর্তী দল আরও কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ইউক্রেনের বাহিনীর দিক থেকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, রুশ রকেট লঞ্চারগুলো এখন কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে তাক করা। ভারী গোলাবর্ষণের শব্দও শোনা যাচ্ছে। ইউক্রেনের একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, রুশ আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কিয়েভের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং রুশরা শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে। কিয়েভের দক্ষিণে ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান ক্ষেত্রের ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ভাসিলকিভ শহরের মেয়র জানিয়েছেন, এই হামলায় রানওয়ে এবং তেলের ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে, একই সঙ্গে পাশে অস্ত্র এবং গোলাবারুদের গুদামেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলেভ, যেটি রুশ অধিকৃত শহর খেরসান এবং ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসার মাঝামাঝি, সেখানেও তীব্র গোলাবর্ষণ চলছে। কিয়েভের উত্তরে এখন ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেশিরভাগ রুশ সেনা সেদিকেই জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও রোমানিয়ায় ১২ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে। হাউজ ডেমোক্র্যাটিক ককাসে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই তথ্য তুলে ধরেছেন। এ সময় বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিন যে যুদ্ধ শুরু করেছেন তাতে তিনি জয়ী হবেন আমরা ইউক্রেনকে যখন সহযোগিতা দিচ্ছি। ইউক্রেনের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct