সেক আনোয়ার হোসেন,হলদিয়া,আপনজন: দু-বছর পর স্কুলে বসে মাধ্যমিক দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। বাংলা পরীক্ষা সোমবার ছিল স্বাভাবিক ভাবেই সকাল থেকেই স্কুলগুলির সামনে ছিল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ভিড়। পড়ুয়াদের কেউ শেষমুহূর্তে বইয়ের লেখা বিড়বিড় করে পড়ছিল। কেউ এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গুছিয়ে নিচ্ছিল।সবকিছু ঠিকঠাক আনা হয়েছে কিনা বার বার দেখে নিচ্ছিলেন অভিভাবকরা। সকলের মুখেই ছিল মাস্ক।এদিন এক ঘন্টা আগেই কুঁকড়া হাঁটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,লাবণ্য প্রভা বালিকা বিদ্যালয়, হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পন্সর,সুতাহাটার জন্য কল্যাণ হাইস্কুল,মিলন বিদ্যাপীঠের সামনে ভিড় জমতে শুরু হয়। পুলিশ স্কুলগুলির সামনে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। অনেক জায়গায় গাড়ির গতি রুখতে গার্ডরেল দেওয়া হয়। প্রতিটা স্কুলের সামনেই সিট নম্বর ও পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ম-কোভিড-বিধি সাঁটানো ছিল। পড়ুয়াদের অনেকেই জানান,ক্লাস হয়েছে অনলাইনে। আর একটু ক্লাস করার সুযোগ পেলে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যেত। কারও কারও দুর্ভাবনা, দীর্ঘ অনভ্যাসে লেখার গতি আগের মতো নেই। গত বছর পরীক্ষা না-হওয়ায় কী সাজেশন মেনে শেষ মুহূর্তের পাঠ নেবে, বুঝে উঠতে পারছে না অনেকে! সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীরা কিছুটা নার্ভাস। পূর্ব শ্রীকৃষ্ণ উচ্চবিদ্যালয়ে আকাশ দে বলে'দুবছর যারা পরীক্ষা দিতে পারেনি তাঁদের আক্ষেপ করতে দেখেছি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাই একটু নার্ভাস লাগলেও আনন্দও হচ্ছে।' পার্বতীপুর পতিত পাবনী উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আদিত্য দাসের কথায়'একটু নার্ভাস তো লাগছেই। তবে আমার নিজের ওপর আস্থা আছে। ভালো পরীক্ষা দিতে পারব। তবে আরও কিছুদিন অফলাইন ক্লাসের সুযোগ পেলে ভালো হত।' মাধ্যমিক মানেই পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও উত্কণ্ঠা। পেন, বোর্ড, স্কেল ঠিকঠাক আছে কী না,বার বার প্রশ্ন করছিলেন তাঁরা। এক পরীক্ষার্থীর বাবা সত্য সাউ বললেন, 'এবারেও পরীক্ষা হওয়া নিয়ে আমি দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ায় আমি খুশি।
তবে স্কুলে ওরা আরও কিছুদিন ক্লাস করতে পারলে ভালো হত।' বিকাশ গুড়িয়া বললেন, 'বাড়িতে পড়াশোনায় বাচ্চাদের ক্ষতি হচ্ছিল। স্কুলের পড়ার কোনও বিকল্প নেই ,শেষমেশ অফলাইন পরীক্ষা হওয়ায় আমরা খুশি।' পরীক্ষার্থীদের মন থেকে ভয় কাটাতে সুতাহাটা থানার পুলিশের তরফে সঙ্গেই সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকেও গোলাপ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের গেটের সামনে। তাঁদের প্রণাম করতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। এদিন পরীক্ষার্থীদের সাদা প্লাস্টিকের বোর্ড ছাড়া অন্য কোনও বোর্ড নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না বিভিন্ন বিদ্যালয়ে।পার্বতীপুর পতিত পাবনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীনেশ রায় প্রামানিক বলেন অফ লাইনে পরীক্ষার ফলে সঠিক মেধার বিকাশ ঘটবে বলে মনে করেন তিনি পার্বতীপুর পতিত পাবনী উচ্চ বিদ্যালয় এবছর ৩৪২ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা বসেছে। বিভিন্ন গন সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গাতে শিবির ছিল চোখে পড়ার মত, অভিভাবক দের বসার জায়গা সহ জল শুষ্ক খাদ্য সামগ্রিক তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন যান সুতাহাটার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আঞ্জুমা বিবি কাউন্সিল দেবপ্রসাদ মন্ডল কর্মাধ্যক্ষ তুষার মাইতি সহ অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct