সজিবুল ইসলাম,মুর্শিদাবাদ,আপনজন: মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভায় এই প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ পৌরসভা কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর সহ প্রৌরপ্রধান কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দলের তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোরর পর তৃণমূলের দখলে এসেছিল মুর্শিদাবাদ পৌরসভা। কিন্তু এবার সরাসরি জিতে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করল। তবে মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী এবার হেরে গেলেন নির্দল প্রার্থী হন বিশ্বজিৎ দের কাছে। মুর্শিদাবাদ পৌরসভার মোট আসন সংখ্যা ১৬। তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। একটিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়। ছয়টিতে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড গঠন করবে মুর্শিদাবাদ পৌরসভা। অন্যদিকে জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভা প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসলো। আগে সিপিআইএমের দখলে ছিল পৌরসভা। সিপিআইএম সহচেয়ারম্যান প্রজেনজিৎ ঘোষ সহ কাউন্সিলররা শাসক দলে নাম লেখানোর পরে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে পুরসভা। জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভার মোট আসন সংখ্যা ১৭ ১৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।দুটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজেপি শূন্য। এখনও চিয়ারম্যান হিসেবে করো নাম ঘোষণা করা হয়নি ,সকল কাউন্সিলর দলের উপর ছেড়ে দিয়েছেন দল যে নির্দেশ দিয়েন সেই নির্দেশ মেনে নিবো বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের এক জয়ী প্রার্থী। যদিও নির্দল প্রার্থী সকলেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরী শংকর ঘোষ বলেন, আমরা বোর্ড গঠন করতে পারিনি ঠিকই। কিন্তু মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে।ভোটের দিইনি বেশ কিছু ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল সেটা বাস্তব হয়ে গেল ফলাফলে মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী কে যে ভাবে মারধর করে বাইরে বের দেয়। ইভিএম বিনা সিলে ছিল সেটা বলতেই তাকে আক্রমণ করা হয়। মূল কথা সঠিক ভাবে নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন হলে মুর্শিদাবাদ পৌরসভা ভারতীয় জনতা পার্টি বোর্ড গঠন করত।
তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায় বলেন, এ জয় মানুষের জয়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে দেখে উজাড় করে ভোট দিয়ে ছেন মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত পৌরবাসী। আমরা দলের পক্ষ থেকে সকল পৌরবাসীকে ধন্যবাদ ভাইজান।তিনি আরো বলেন কজন প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে, সেই ওয়ার্ড গুলো দেখবো পরাজয়ের কারণ গুলো খতিয়ে।
তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো ফল করেছে পৌর নির্বাচনে আমরা খুবই আনন্দিত। গণনা শেষ সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি দিদির উদ্দেশ্যে বললেন, বহরমপুর আপনার ঘর, এখানে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে একটা নির্বাচন করান এ ফলাফল স্বীকৃত হবে না আমি যদি আপনাকে এই শহরে ২৮ টি ওয়ার্ড-এ না হারাতে পারি আমি অধীর চৌধুরী রাজনীতি করা ছেড়ে। তিনি আরও বলেন, এই বাংলায় বারোটার পর আপনার নেতৃত্বে ভোট লুট হয়েছে সারা বাংলায় একসঙ্গে লুট শুরু হয়েছে। আমি দিদিকে বলতে চাই দিদি আপনি এত কমজোর হয়ে যাচ্ছেন কেন আপনার ঘরের ভিতরে গৃহযুদ্ধ চলছে। আপনার ঘর ভাঙছে। আপনি আতঙ্কিত। যদি এধার- ওধার হয়ে যায়। সেক্ষত্রে আপনার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে তাই আপনি কোন রিক্স নিলেন না বলে অভিযোগ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। দিদিকে সাংবাদিক বৈঠক থেকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অধীর মমতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি একটা মকভোট করান, যদি আমি বহরমপুর শহরের ২৮টা ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে হেরে যাই তাহলে আমি বলছি রাজনীতি করা ছেড়ে দিব। সাহস থাকে তো আপনি মক ভোট করান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct