আব্দুস সামাদ মন্ডল,হুগলি,আপনজন: মোদির দেখানো পথেই হাঁটছেন দিদি। এক প্রেস বিবৃতিতে এই অবিযোগ করলেন আইএসএফ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে পিপিপি বা অর্থ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে রাজ্যের সরকারি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিচালনার জন্য খসড়া প্রস্তাব রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি হাতে দেওয়ার বিরোধিতায় সরব হলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট একমাত্র বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী।
প্রেস বিবৃতেতে নওশাদ আরও বলেন, বলেন, এমনিতে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগ পদ্ধতিতে নানান দুর্নীতি আমাদের সামনে আসছে। শিক্ষক কমে যাওয়ায় স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। যার কারণে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গত দুই বছর করোনা আবহে স্কুলের দরজা বন্ধ ছিল। কিন্তু দেদার চলছিল মেলা, খেলা সহ ভোটকেন্দ্রিক কার্যকলাপ, উৎসব ইত্যাদি। অনেক আন্দোলন ও বিক্ষোভের পর শিক্ষালয়গুলি খুলছে। তারপর এই খবর রাজ্যের সুশীল সমাজকে বিচলিত করে তুরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। নওশাদ আরও অভিযোগ করেন,কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়ে গতবছর নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেছিলের ডবল শিক্ষা, ডবল চাকরি। কিন্তু নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরে সেগুলি ভুলতে বসেছে।
এছাড়া বলেন, পিপিপি মডেলে শিক্ষক নিয়োগ, সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি সহ সবকিছুই বেসরকারি বিনিয়োগকারী নিয়ন্ত্রণ করবে, তাহলে এসএসসি-র মাধ্যমে সরকারি চাকরি থেকেও বঞ্চিত হবেন হবু শিক্ষকরা। তাছাড়া, এই মডেলের মাধ্যমে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে তুলে দিলে পশ্চিমবঙ্গের আপামর প্রান্তিক মানুষ বিশেষত আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু মুসলমান মানুষেরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নওশাদের আরও অভিযোগ, এই সংস্থাগুলি শুধু বেলাগাম মুনাফা লুটবে তাই নয়, এই ব্যবস্থা বহুজন সমাজের মানুষ তথা দারিদ্র পীড়িত মানুষগুলিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেবার নতুন ধরণের চক্রান্ত। তাই তার দাবি অবিলম্বে রাজ্য সরকারের শিক্ষার বেসরকারিকরণ বন্ধ করুক। না হলে কলকাতায় মহা মিছিল করে রাজ্য অবরুদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আইএসএফের চেয়ারম্যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct