সজিবুল ইসলাম,ডোমকল,আপনজন: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জলঙ্গী থানার ঘোষ পাড়া অঞ্চলের চর পরাশপুর, উদয় নগর চর কলোনি,হিন্দু কলোনি এই গ্রামগুলি আনুমানিক ২০০৫-৬ সালের। পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে চর পড়ায় তখন থেকেই প্রায় হাজার পরিবার বসবাস শুরু করেন। এই গ্রামটি বাংলাদেশ লাগোয়া। গ্রামটি থেকে কয়েক কিলোমিটার ব্যবধান বাংলাদেশ। যদিও গ্রাম শুরুর সময় হাট বাজার বাংলাদেশ থেকেই করতেন গ্রামের মানুষ জন। বর্তমানে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামের এক ব্যক্তি জব্দুল মন্ডল জানান, করোনা মহামারীতে জানতে পারলাম যে কোয়ারেন্টাইন মানেটা কি। আর আমাদের কাছে সেটা অনেক আগে থেকেই চালু আছে। কারণ আমাদের না আছে কোনো বাজার না কোনো বড় দোকান, যে কোনো জিনিসের জন্য আমাদেরকে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার রাস্তার পরে জলঙ্গী বাজারে। আর চর থেকে বাজারে যাওয়া যে কি কঠিন সেটা শুধু আমরাই জানি। বিএসএফদেরকে হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। না দিতে পারলে আর যাওয়া হয় না। তার পর আবার যদিও বা যেতে পারি আসার সময় সেই চেকিং আর প্রশ্ন। আমরা ভারতবাসী অথচ আমার নিজের গ্রামে যেতে বা আসতে হলে হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, কেন এই সব। করোনা মহামারীতে সরকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করছেন যারা অন্য রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরছেন কারণ করোনা আক্রান্ত যদি থাকেন তাহলে তাদের কাছ থেকে গ্রামবাসীদের না হয়। কিন্তু আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে রয়েছি এক রকম গোটা গ্রাম কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হয়ে। না আছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, না ভালো স্কুল,যদি বা দুই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি ক্লাস অষ্টম পর্যন্ত স্কুল রয়েছে,নাম মাত্র কারণ বর্ষার সময় শিক্ষকদের আসার অনেক সমস্যা শুরু হয়,তখন আর স্কুল পড়ুয়ারা আসেন না বলেই চলে। কোনো ভালো টিউশন সেন্টার বা মাস্টার কিছুই নেই এই গ্রামে কি ভাবে ভালো পড়াশুনা হবে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেমন ভাবে মানুষ ছিলেন আমাদের সেই একই রকম অবস্থায় কোথাও যাবার উপায় নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct