আর এ মণ্ডল,ইন্দাস,আপনজন: সম্প্রতি এক অবাক করা তথ্য সামনে আসছে করোনা ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে। সরকারের পক্ষ থেকে সমগ্র দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।এই রাজ্যেও ব্লক হসপিটাল ছাড়া, বর্তমানে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সপ্তাহে দুইদিন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এরই মাঝে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোপন সামনে আসতে শুরুর করেছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ আছে, যাদের এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা এবং ক্ষতিকর ভাবে। অথচ বেশ কিছু কাজ এর জন্য এটা অপরিহার্য হওয়ায়, তারা ফন্দি ফিকির খুঁজছিল কি করে ভ্যাকসিন না নিয়েও সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যাকনি গ্রহীতা জানান, প্রথম দিকের কথা ভ্যাকসিন নিতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের, ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত সমিতির বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের টোকেন/স্লিপ সহ আধার কার্ডের জেরক্সের কপি এবং ফোন নাম্বার দিয়ে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করার পর নির্দ্দিষ্ট জায়গাতেই (ব্লক হাসপাতালের) ইঞ্জেকশন দেওয়া হতো। অনেক ভিড় হওয়ার কারণেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন মোবাইলে মেসেজ চলে আসতো আপনার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, নির্দ্দিষ্ট অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করতে হবে। এই পদ্ধতিটাই যারা ভ্যাকসিন না নিয়েও সার্টিফিকেট পেতে চাইছিলো, তাদের মাথায় কূট বুদ্ধি এনে দেয়।এর থেকেই ভ্যাকসিন না নিয়েও সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন করেই ক্ষান্ত। বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ব্লকের,- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন ব্যক্তিই এই কীর্তির কথা জানায়। এখন কারও টোকেন বা স্লিপ লাগছে না,আধার কার্ড আর ফোন নাম্বারই যথেষ্ট। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে যে, ২০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই মোবাইলে মেসেজ চলে আসে, ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন। ঐ দিনই (২০ ডিসেম্বর) সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা হয়। অবশ্য জনৈক ব্যক্তি ২২ তারিখে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। অসমর্থিত সূত্রে খবর,যারা নাম ধাম কম্পিউটারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করছে,তারাও এই কাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার এই পদ্ধতির পরিবর্তন না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।কারণ রেজিস্ট্রেশন করার পরই মেসেজ। উল্লেখ্য যে,- যারা ভ্যাকসিন দিচ্ছেন তাঁরাও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে, কিছুই বুঝতে পারছেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct