আপনজন ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। চেয়ারপার্সন পদে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দাঁড়ানোয় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যানের মতো দেড় হাজার প্রতিনিধি ভোট দেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর মমতা বলেন, তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করে, সুখ দুঃখ সব কিছু অতিক্রম করে। আজ এই জায়গায় তৃণমূল এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূলের উত্থান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। পরে আমরা দেখি দেশের অনেক জায়গায় ইউনিট তৈরি হচ্ছিল। তারপর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নাম বদলে দিই। কংগ্রেস যতদিন চলেছে ওদের পরম্পরা, ইউপিকে বেস করে, পণ্ডিত নেহরু। বিজেপির গুজরাত থেকে চলছে। আমাদের ওরিজিনাল জায়গা বেঙ্গল। ২০১৬ সালে কমিশনের স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা এখন জাতীয় দল।
এদিন দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল ছাড়া কিছুই নেই। দল একটাই, তৃণমূল। চিহ্নটা জোড়াফুল।’ নজর ২০২৪ হলেও নানা প্রসঙ্গ তুলে বাংলায় দলকে মজবুত করতে এদিন একাধিক দিশা দিতে চেয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাংলা সামলান, আমাকে বলুন দেশ থেকে বিজেপিকে হটান। তৃণমূল যদি বাংলাকে থেকে সিপিএমকে তাড়াতে পারে, তবে কেন্দ্রে বিজেপিকেও তাড়াতে পারবে। দলে কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবেন না, দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। সিম্বল একটাই জোড়াফুল। মাথায় রাখবেন। বিজেপিকে সরাতে হলে ঘর সামলান। নিজের ঘর সামলান, বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে নিজের ঘর সামলান। ২ বছরে নিজেদের এত মজবুত করুন যে দল যেন লোকসভায় ৪২টি আসনই পায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct