আপনজন ডেস্ক: নাক ডাকার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে ৷ সমীক্ষা বলছে গড়ে প্রতি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন নাক ডাকেন৷ যিনি নাক ডাকেন, তিনি তো ঘুমে মগ্ন থাকেন বলে বিষয়টি বুঝতে পারেন না যে, তার নাক ডাকার কারণে পাশের মানুষটির ঘুম নষ্ট হচ্ছে। নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো মিউকাস। মিউকাস হচ্ছে, একধরনের পিচ্ছিল তরল পদার্থ। যা নাক, সাইনাস ও ফুসফুসের কোষ থেকে তৈরি হয়। উৎপন্ন মিউকাস গলার পেছনের দেয়ালের দিক দিয়ে প্রসারিত হয়। সাধারণত নাকে ও গলায় বেশি পরিমাণে মিউকাস উৎপন্ন হলে মানুষ নাক ডাকে। এই মিউকাসের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নাক ডাকার পরিমাণ বাড়তে থাকে। নাক ডাকার ফলে শুধু আশপাশের মানুষই বিরক্ত হন তা নয়, এটি ব্যক্তির নিজের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তবে এর থেকে বাঁচার কয়েকটা উপায় রয়েছে ৷ নাক ডাকার আওয়াজ ও পরিমাণ অস্বাভাবিক হলে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। সেই সঙ্গে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চলা উচিত।
১. বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল বা মদ-জাতীয় পানীয় পানের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালকোহল জিভের পেশিগুলোকে শিথিল করে দেওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের নালি সংকুচিত হয়ে পড়ে আর এ থেকে নাক ডাকা শুরু হয়। তাই অ্যালকোহল না পান করে শরীরে পক্ষে ভালো।
২. এমনিতেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কিছু জটিল সমস্যা দেখা দেয় ধূমপান করার ফলে। টারবাইনেটস নামে নাকের বিশেষ এক ধরনের টিস্যু স্ফীত হয়ে যেতে পারে ধূমপানের ফলে, এ থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ধূমপানের এই দুই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। ধূমপানের মত বদ-অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৩. নাক ডাকার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হল অতিরিক্ত ওজন। আপনার ওজন যত বেশি হবে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বেশি বাড়তে থাকবে। তাই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন।
৪. এলাচ গুঁড়ো করে রেখে দিন। প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ১ গ্লাস গরম জলে ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন।
৫. বিভিন্ন সবজি বা ফলের জুস শরীরের জন্য খুব ভালো। একই সঙ্গে এসব জুস নাক ডাকার প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন সবজি ও ফলের জুস খেলে রাতে অতিরিক্ত নাক ডাকার প্রবণতা কমে আসবে।
৬. অনেকেই দেখা যায় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠাণ্ডা দুধ পান করে। এর ফলে মুখে ও গলায় শ্লেষ্মার একটা পরত জমে যায়। ফলে নাক ডাকার আওয়াজ আরও বেড়ে যায়। তাই রাতে গরম দুধ পান করুন।
৭. চিত হয়ে অথবা উপুড় হয়ে ঘুমালে শ্বাসনালিতে চাপ পড়ে, ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় জোরালো শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন। এতে নাক ডাকা থেকে মুক্তি পাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct