আপনজন ডেস্ক: কুষ্ঠ রোগটি ম্যাইকো ব্যাকটেরিয়াম লেপরের কারণে ঘটে থাকে। এটি ত্বক ও স্নায়ুর একটি সংক্রমণ। এই ব্যাধি ত্বক, শ্লৈস্মিক ঝিল্লি, পেরিফেরাল স্নায়ু, চোখ ও শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, কুষ্ঠ সম্ভবত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ও পোকামাকড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। আবার অনেকেই মনে করেন, এটি ছোঁয়াচে বলে একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক এক সংস্থার মতে, প্রতি বছরে বহু মানুষ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে কেবল শারীরিক যন্ত্রণাই নয়, মানসিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় রোগীকে। যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে কুষ্ঠ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটি রোগ।কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ হল চামড়ায় ফ্যাকাশে দাগ-ছোপ দেখা দেয়। ত্বকে ছোট ছোট ফোঁড়ার মতো হয়। চামড়া শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যায়। পায়ের পাতার নিচের অংশে ঘা হয়। মুখের বা কানের কিছু স্থানে ফুলে ওঠে। চোখের পাপড়ি ও ভ্রু পড়ে যায়। সংক্রমিত স্থান অসাঢ়তা অনুভব ও ঘাম হয়। অনেকে পঙ্গু হয়ে যান। পেশী দুর্বল হয়ে যায়। মুখের নার্ভ বা স্নায়ুতে প্রভাব পড়ায় অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ে। এটি চিকিৎসাযোগ্য রোগ। ওষুধে এর চিকিৎসা আছে, শল্যচিকিৎসাও আছে। বেশিরভাগ সমযেই একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা। এমনকি চর্মরোগ ও স্নায়ুর সমস্যা নির্ণয়েও দেরি করেন বলে আক্রান্তদের ভোগান্তি হয় অনেক বেশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct