স্বীকৃতি
সৌমেন্দু লাহিড়ী
__________________
সংগীতে “পন্ডিত” লোভনীয় তাই,
মোহময় এ উপাধি অনেকেই চায়।
কেউ বলে, “রেডিওতে টপ গ্রেড চাই,
নইলে এ উপাধি নামের আগে নাই।”
কেউ বলে, “কালো চুলে এ উপাধি নাই,
বুড়ো হলে তবে ভবে এটি পাওয়া যায়।”
সঙ্গীতজ্ঞ কে পন্ডিত মানি,
এ কথা কথিত হেথা সকলেই জানি।
তার সাথে দক্ষতা বড় প্রয়োজন,
সে কথা বলেন সব জ্ঞানী গুণী জন।
আদর্শ গুরুকে ওস্তাদ বলে,
মুসলিম সমাজে এ রেওয়াজ চলে।
পন্ডিত মানুষও দিতে পারেন এটি,
তাঁর দেওয়া উপাধি সোনা সম খাঁটি।
পন্ডিত মানুষই পন্ডিত চেনে আর
রতনে রতন চেনে, সোনা সোনার বেনে।
পন্ডিত বলে যাঁরে মিডিয়া কন,
তিনিও পৃথ্বীতে পন্ডিত হন।
পুরাকালে শুনি গুরু নিয়ে প্রিয় শিষ্য
বসাতো সংগীতাসর অপরূপ দৃশ্য।
গান শুনে শ্রোতাগণ যদি মুগ্ধ হত,
পন্ডিত বলে সবে এ উপাধি দিত।
অনুরাগীবৃন্দ দেয় এই সম্মান,
সাধনার স্বীকৃতি সামাজিক মান।
এর জন্য নেই কোনো এক্সামিনেশন,
দিতে পারে এটি কোনো ইনস্টিটিউশন।
শ্রোতাগণ হলে মুগ্ধ, তারা ফ্যান হয়,
ছাত্র-ছাত্রী, অনুচরবৃন্দ এ উপাধি দেয়।
এভাবেই শিল্পী পন্ডিত হয়,
লোক মুখে জয় আর লোক মুখে ক্ষয়।।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct