আপনজন ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া স্বামীর চিতায় স্ত্রীকেও দাহ করা হয়েছে। তারা হলেন- হিমাংশু বর্মণ ও তার স্ত্রী সাবিত্রী রানী। হিমাংশু ওই এলাকার বিশ্বেশ্বর বর্মণের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পূর্ব কাদমা গ্রামের একটি সড়কের পাশ থেকে সাবিত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী হিমাংশু বর্মণ ও তার কন্যা প্রিয়ংকাকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে বিকেলে হিমাংশুকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, হিমাংশু থানার একটি ঘরে গলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হিমাংশুর বাবা বিশ্বেশ্বর বর্মণের দাবি, পুলিশ তার ছেলের কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছিল। সে টাকা দিতে না পারায় তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। হিমাংশুর মেয়ে প্রিয়ংকা জানান, থানায় বাবার সঙ্গে একবারও দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি ওইদিন বিকেলে থানায় বাবা মারা গেলেও আমাকে জানানো হয়েছে অনেক রাতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct