আপনজন ডেস্ক: সুদানে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে বিক্ষোভ চলছেই। বৃহস্পতিবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ দমনাভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। সুদানের পুলিশ শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজধানী খার্তুম এবং এর আশেপাশের ওমডারমান ও বাহরি শহর থেকে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে এগোতে থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ছুড়ে তাদের থামাতে চেষ্টা করে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওমডারমানে চারজন নিহত হয়েছে। তাছাড়া, দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভে আরও ২৯৭ জন বিক্ষোভকারী এবং ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ।
সামরিক শাসক আবদুল ফাত্তাহ আল –বুরহানের এক উপদেষ্টার উদ্ধতি দিয়ে আল হাদাথ টিভি জানায়, “সামরিক বাহিনী কাউকে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিতে দেবে না। চলমান বিক্ষোভ দেশের জন্য ক্ষতি। এর মধ্য দিয়ে কোনও রাজনৈতিক সমাধান অর্জন করা যাবে না।” সুদানে বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ ছিল ২৫ অক্টোবরের সেনা অভ্যুত্থানের পর ১১তম বড় বিক্ষোভ। এর আগে বিক্ষোভের জেরে আবদুল্লাহ হামদককে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়েছিল সামরিক সরকার। অবাধ একটি নির্বাচনে যাওয়ার সময়টিতে সেনাবাহিনী সরকারে যেন কোনও ভূমিকা পালন না করে সেটিই চাইছে বিক্ষোভকারীরা। ‘ফোর্সেস অফ ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জ’ জোট বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘অতিরিক্ত দমনপীড়ন চালিয়েছে’।
জোটটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন টুইটারের এক পোস্টে লেখেন, বিক্ষোভ দমনে এমন প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের খবরে তিনি উদ্বিগ্ন।
“যুক্তরাষ্ট্র সুদানের স্বাধীনতা, শান্তি এবং ন্যায়বিচারকামী জনগণের পাশে আছে,” লেখেন তিনি।
সুদানে নিয়োজিত ‘জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি’ ভলকার পার্থেস বলেন, তিনি মৃত্যুর খবরে খুবই মর্মাহত। নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct