সঞ্জীব মল্লিক,বাঁকুড়া,আপনজন: বছরের পর বছর ধরে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়েও বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের সীমানায় থাকা দামোদর নদের চরে বন্ধ করা যায়নি বে আইনী পোস্ত চাষ । এবার ওই এলাকায় কত জমিতে পোস্ত চাষ হয়েছে তার আঁচ পেতে অভিনব পদ্ধতি নিল আবগারি দফতর। আজ দামোদরের নদীগর্ভে ড্রোন মাধ্যমে এলাকায় পোস্ত চাষের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ চালায় আবগারি দফতর, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন । ড্রোনের থেকে পাওয়া ছবির ভিত্তিতে আগামী দিনে পোস্ত চাষ ঠেকানোর অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছে আবগারি দফতর ।
বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার একেবারে সীমানায় রয়েছে দামোদর নদ। বর্ষায় দামোদর নদ দুকূল ভাসিয়ে বয়ে গেলেও বর্ষা শেষ হতেই দামোদরের বুকে বিভিন্ন জায়গায় জেগে ওঠে চর । বিশাল বিশাল সেই চরের জমি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় সেই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলান দু পাড়ের মানুষ। ফসলের মাঝেই চরের জমিতে লুকিয়ে পোস্ত চাষ করছেন একদল অসাধু কৃষক দামী মাদক তৈরির কাজে ব্যবহার হয় পোস্তর খোলা থেকে শুরু করে পোস্তর উপক্ষার । স্বাভাবিক ভাবে বে আইনি ভাবে পোস্ত চাষ করে বিপুল অঙ্কের টাকা ঘরে তোলেন ওই অসাধু কৃষকরা । আবগারি দফতর প্রতি বছর নিয়ম করে চরের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে পোস্ত গাছ নষ্ট করে দিলেও পরের বছর ফের বিঘার পর বিঘা জমিতে ফের লুকিয়ে চুরিয়ে ওই চাষ করতে শুরু করেন ওই অসাধু কৃষকরা । নদী গর্ভের জমি কোনো ব্যাক্তি মালিকানাধীন না হওয়ায় ওই অসাধু কৃষকদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়াও সম্ভব হয়না আবগারি দফতর ও প্রশাসনের । ইতিমধ্যেই পোস্ত চাষের মরসুম শুরু হয়েছে । সূত্রের খবর বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার অন্তর্গত দুর্গাচর মানা , মেজিয়া মানা, জপমালি সহ বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া দামোদরের চরগুলিতে লুকিয়ে চুরিয়ে পোস্ত চাষ করতে শুরু করেছেন ওই অসাধু কৃষকরা । এবার আগেভাগে আকাশ পথে জমিগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আবগারি দফতর । আজ মেজিয়া ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকায় দামোদরের চরে ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে জমিগুলি চিহ্নিতিকরণের কাজ করেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct