রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জবাসীর কাছে অভিশাপ গঙ্গা ভাঙন। বসতবাড়ি থেকে চাষের জমি একটু একটু করে গঙ্গার বুকে তলিয়ে গিয়েছে ধানঘড়া, শিবপুর, দুর্গাপুর, চাচন্ড গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। আবারও গঙ্গা ভাঙন সামসেরগঞ্জে। শীতের মরশুমেও ভাঙছে নদী পার। গঙ্গার জলস্তর যত কমছে ততোই বাড়ছে ভাঙ্গন। বুধবার সকাল থেকে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের প্রকোপ লক্ষ করা গেল সামসেরগঞ্জের শিবপুরে। ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গাছ। পাশাপাশি তলিয়ে গেছে একটি লক্ষী মন্দির। এলাকার বাসিন্দাদের পূজা অর্চনার জন্য নির্মিত একমাত্র লক্ষী মন্দির গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক লক্ষ করা গিয়েছে। উৎকণ্ঠায় সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ। কখন গঙ্গার গ্রাসে যায় বসতবাড়িটুকু, সেই আশঙ্কাই কার্যত রাতে ঘুম উরেছে গ্রামবাসীর।
বর্ষায় নদীর ভয়ঙ্কর রূপ দেখে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনের ত্রাসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বছরের পর বছর ভাঙনের আতঙ্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না সামশেরগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষদের। ভাঙন রোধের নদী পাড়ে বালির বস্তা ফেলার কাজ চলছে, তবুও দুর্ভোগ কমে নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, গঙ্গা ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই।
ভাঙনের ত্রাসে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ গ্রামবাসীদের। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি এই সময়ে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হোক। স্থায়ী ব্যবস্থা না হলে নদী পার ভাঙতে ভাঙতে গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশংকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct