মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: শীত পড়তেই খেজুরের গুড়ের খোঁজে বাঙালি। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি পড়তে যেমন বাঙালির মনে ইলিশ মাছের চাহিদা বাড়ে, এমনই হালকা শীতে খেজুরের গুড় পাটালি সহ শীতকালে বিভিন্ন পিঠে পুলির চাহিদা বাড়ে। নদীয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মাজদিয়া, নাদন ঘাট, ভীমপুর ও বারনিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় খেজুরের গুড়ের আমদানি রপ্তানি হয়। বাঙালির সন্ধানে আসে খেজুরের রস ও খেজুর গুড়। ধীরে ধীরে শীত জাঁকিয়ে পড়তে থাকে। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা থাকায় শীতের কনকনে ভাব হাড়ে হাড়ে টের পায় মানুষজন। সেইসময় আপামর বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠে পুলির অনুষ্ঠান। সেই পিঠে-পুলি তৈরিতে চাই নলেন গুড়। নাকাশিপাড়া ব্লকের দোগাছি গ্রামের তাজের আলি জানান খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেই রস জাল দিয়ে নলেন গুড় তৈরি করেন। প্রতি বছরই খেজুর গাছ থেকে রস বের করে নলেন গুড় তৈরি করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এই কাজ সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রতি বছর১৮, থেকে ২০ টি খেজুর গাছ জোগাড় করতে হয়।
শীত পড়তে খেজুর গাছে সন্ধান করতে হয় নিজের কিছু গাছ রয়েছে প্রথম গাছি টি তৈরী করতে রস নেওয়া মতো তার কমপক্ষে এক সপ্তাহ বিশ্রাম দিতে হয়।শুকি না দিলে খেজুর রসের স্বাদ থাকবে না ফলে নলেন গুড়ের স্বাদও কমে যাবে। চাষিরা গাছ থেকে খেজুর রস নামিয়ে প্রথমে একটি বড় পাত্রে ঢেলে বেশ কিছুক্ষণ উনানের উপরে জাল দিতে হয় গুড় তৈরি করার মতো উপযুক্ত না পর্যন্ত ওই পাত্রের উপরে আগুন দিয়ে জ্বাল দিতে হয়। নদীয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বাড়িতে এসে গুড় নিয়ে যায় ও গ্রামে গ্রামে হকারি করে বিক্রি করে বেড়ায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দ্রব্যমূল্যের যেভাবে আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি তাতে গুড়ের দাম পাওয়া যায় না। ১২০টা থেকে ১৫০ বিক্রি করার হচ্ছে পাইকারি দাম অনেকটাই কম।
যেভাবে শ্রমিকের দাম সেইসঙ্গে জ্বালানি সহ বিভিন্ন কিছু লাগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে মানুষ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই এই শীতের সময় ফের নলেন গুড়ের ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও লাভবান হচ্ছেন মনে করছে ব্যবসায়ীরা জাঁকিয়ে শীত পড়লে গুড়ের চাহিদা বাড়ে এমনটাই জানালেন গুড় ব্যবসায়ীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct