সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: হিমঘর কর্তৃপক্ষের নোটিস অতিরিক্ত ১৫দিন হমঘরে আলু রাখলে দিতে হবে অতিরিক্ত ভাড়া। এই নির্দেশিকায় সংকটে আলু সংরক্ষণকারী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সরকারি সিদ্ধান্ত নয় হিমঘর কর্তৃপক্ষের একতরফা এই সিদ্ধান্তের জেরে হিমঘর কর্তৃপক্ষের সাথে আলু সংরক্ষণকারী কৃষক ও ব্যবসায়ী সংঘাত সামনে এল। সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছিল ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার হিমঘরগুলি থেকে আলু বের করে হিমঘর খালি করে দিতে হবে। সীমিত সময়ের মধ্যে হিমঘরে সংরক্ষিত আলু কোনভাবেই খালি করা সম্ভব নয় এই দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। পরিসংখ্যান বলছে ৩০ নভেম্বরের পরে জেলার হিমঘরে ১৮ থেকে ২১ শতাংশ আলু মজুত থেকে যাবে। সরকারী সময়সীমা বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি না হলেও কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ হিমঘরে নির্দেশিকা জারি করেছে ৩০ নভেম্বরের পর অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর ১৫ দিন হিমঘরে আলু রাখলে দিতে হবে কুইন্ট্যাল প্রতি অতিরিক্ত ২২ টাকা ভাড়া। হিমঘর কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকা জারির পর থেকে চিন্তায় জেলার কৃষক আলু সংরক্ষনকারী ব্যবসায়ীরা।
এখন হিমঘরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আলু কিভাবে রাখবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।