সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের এলাকার ভাঙড়-কামারগাঁথি রাস্তার বেহাল দশা। অটো চালাতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে দিলীপ ঘোষদের! দিলীপ ঘোষসহ অন্য অটো চালক ও নিত্য যাত্রীরা চাইছেন দ্রুত মেরামত করা হোক রাস্তাটি। ভাঙড়- কামারগাঁথি রাস্তাটি দুই চব্বিশ পরগনাকে যুক্ত করেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাড়োয়ার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে আসেন বাজার করতে। হাড়োয়াতে কোনো কলেজ না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে ভাঙড় কলেজে আসেন পড়ুয়ারা।
তাছাড়া ভাঙড়ের ভোগালি ১ অঞ্চলের কিছু পড়ুয়া কামারগাঁথি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যান। ফলে নিদারুণ সমস্যায় পড়ছেন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ। জানা গেছে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটির। রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে সেচ দফতরের। প্রায় দু’বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কার্যত গোটা রাস্তা ছেয়ে যাচ্ছে ধূলিকণায়। ফলে শ্বাসকষ্টে ভোগা পথচারীরা পড়েছেন সব চেয়ে বেশি সমস্যায়! তাছাড়া ভাঙড় কাটা খালের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটির দুধার ভরেছে আগাছায়। ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করছেন মহিলারা! অটোচালক দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, “ রাস্তাটি সারাইয়ের বিষয়ে একাধিক দফতরে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। রাস্তা খারাপের জন্য অটোর ক্ষতি হচ্ছে, জ্বালানি বেশি পুড়ছে। গন্তব্যে পৌঁছাতেও সময় বেশি লাগছে।”ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, “ বিষয়টি নিয়ে বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলবো। প্রয়োজনে জেলা পরিষদ অথবা সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct