আপনজন ডেস্ক: ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘হিন্দুধর্ম’ নিয়ে যখন রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে তখন দেশের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমান খুরশিদের নৈনিতালের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল একদল উগ্র হিন্দুত্ববাদী।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রকাশিত অযোধ্যা নিয়ে সালমান খুরশিদের নতুন বই ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা: নেশনহুড ইন আওয়ার টাইম’-এ জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির তুলনা টানায় তার রোষ গিয়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের পাহাড়ে অবস্থিত খুরশিদের বাড়ির উপর। সেই বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া ছবি এদিন ফেসবুক ও ট্যুইটারে সালমান খুরশিদ পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে নৈনিতালে তার বাড়ির একটা অংশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দরজা ভস্মীভূত হয়ে গেছে, জানালা ভেঙে চুরমার – আর বাড়ির কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, ‘যে বন্ধুরা একদিন এখানে এসেছিলেন তাদের জন্য এই দরজা আমি খুলে দিতে চেয়েছিলাম। যদি বলি এটা কিছুতেই হিন্দুধর্ম নয়, তাহলে কি এখনও আমি ভুল বলব?’
এ ব্যাপারে কুমায়ুন পুলিশের ডিআইজি নীলেশ আনন্দ বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই আগুন লাগানোর ঘটনায় তারা মোট ২১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রাকেশ কপিল নামে ওই অঞ্চলের স্থানীয় একজন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী ও তার আরও ২০জন সহযোগীকে খোঁজা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ শশী থারুর এই ঘটনার পরই টুইট করেছেন, ‘এটি চরম লজ্জাজনক। সলমান খুরশিদ এমন একজন রাজনীতিক যিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতকে বারে বারে গর্বিত করেছেন। তিনি একজন মধ্যপন্থী, সেন্ট্রিস্ট এবং চিরকাল এদেশে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেছেন। আমাদের রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার বহর যেভাবে বাড়ছে, এদেশের ক্ষমতাসীনদের তার তীব্র নিন্দা করা উচিত।’
সলমান খুরশিদের নতুন বইয়ে ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে তার মন্তব্যের জেরেই যে তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনও একরকম নিশ্চিত। তবে তারা জানিয়েছেন, তদন্তে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: