আপনজন ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট আসলে কোন রোগ নয়, এটি অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতের শুরুতে এটি বেশি হয়। নাক বন্ধভাব, সর্দি, চোখে চুলকানি ও চোখ থেকে জল পড়া, বুকে চাপ চাপ বোধ, কাশি, হাঁচি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি উপসর্গ শ্বাসকষ্টের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়।
এসব উপসর্গ শীতের শুরুতে বেশি দেখা দেওয়ার কারণ হচ্ছে-
শীতের শুরুতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। ফলে ধুলার পরিমাণ বেড়ে যায়। ধুলা ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হয়।
বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার কমে গেলে সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জীবাণু ফুসফুসের ভিতরে প্রবেশ করে শ্বাসের সমস্যা তৈরি করে।
এ সময় জল কম খাওয়া হয় বলে শরীর থেকে সহজে জীবাণু বের হতে পারে না। এ কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
ঘরের ভিতর নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
নিয়মিত ময়শ্চারাইজার মাখলে ত্বকের শুষ্কতা কমে যাবে। শ্বাসকষ্টও বাড়বে না।
ধূমপান করলে ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ে এবং শ্বাসকষ্ট হয়। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
খুব বেশি শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সুস্থ থাকতে নিয়মিত ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct