আপনজন ডেস্ক: ৭০ / ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, অবসরপ্রাপ্ত আরবিআই-ম্যানেজার, কলিতে নিজস্ব দোতলা বাড়ি, পেনশন হোল্ডার। ৫০-এর মধ্যে পাত্রী চাই। বিয়ে করতে চেয়ে এমনই বিজ্ঞাপন দিয়ে কেল্লাফতে সত্তরের ‘যুবকের’। একের পর এক পাত্রীর ফোন। লাইনে রয়েছেন ২৪ থেকে ৬৪, সব বয়সের পাত্রী। বিজ্ঞাপন প্রকাশের ৮-১০ দিনের মধ্যেই সত্তরের এই ‘যুবকের’ সঙ্গে সম্বন্ধ এসেছে ৭০-এর অধিক।
সম্প্রতি বাংলার প্রথম সারির এক দৈনিকে বিয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বাগুইআটির বাসিন্দা এই অবসরপ্রাপ্ত আরবিআই-ম্যানেজার। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেওয়া ছিল মোবাইল নাম্বারও। তারপর থেকেই একের পর এক কনে হিসাবে যোগাযোগ করে চলেছেন। হোয়াটসঅ্যাপে ছবিসহ বায়োডাটা পাঠানো বা সম্বন্ধ হিসাবে সরাসরি ফোন কলের জন্য বিরাম নেই তাঁর মোবাইলের। তালিকায় রয়েছেন ২৪-২৫ থেকে ৬০-৬৫, যুবতী থেকে নানা বয়সের মহিলারা। এমনকী, গত রবিবার একজন পরিবার দেখাও করে গিয়েছেন।
কেন এই বয়সে এমন সিদ্ধান্ত অবসরপ্রাপ্ত আরবিআই ম্যানেজারের? জানা গেছে, এতদিন নিজের মতো করে কাটিয়েছেন। নানা নিয়ম-কানুনের জন্য শেষ জীবন কাটাতে চান না বৃদ্ধাশ্রমে। বাড়িতে কাজের জন্য লোক রাখার থেকে বিয়ে করায় সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি। কারণ, এতে মানুষের কটু কথা শোনার থেকে একজনকে সামাজিক স্বীকৃতি দিয়ে বিয়ে করে, যিনি তার বাকি জীবন দেখভাল করবে।
পাত্রর তরফে আরও জানা যায়, সাত বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এক মেয়ে আছে নিজের সংসার নিয়ে থাকেন। নাতি-নাতনিরা স্কুলে পড়ে। এই বিয়েতে তাদের কোনও সমস্যা নেই।
এই বয়সে বিজ্ঞাপন দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আরবিআই ম্যানেজারের বিয়ের সিদ্ধান্তকে সমাজের সব ধরনের মানুষ তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct