জৈদুল সেখ, বড়ঞা: আপনজন: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকার গোপন ছবি ফাঁসের হুমকি! টাকা চেয়ে লাগাতার ব্ল্যাকমেল প্রেমিক যুবকের। ভয় এবং মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী রেখা খাতুন নামে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার শ্রীহট্ট গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের পরিচয়, এরপর ঘনিষ্ঠতা, তারপর মনের সাথে মনের মিল, অবশেষে, প্রেম। কিন্তু তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। অচেনা যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাপ দিচ্ছিল পরিবারের লোকেরা। অন্যদিকে প্রেমিক চাপ দিচ্ছিল সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। দুইয়ের মধ্যে চলছিল টানাপড়েন এবং মানুষিক অবসাদের পড়ে রবিবার রাতে আটটার সময় বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন দশম শ্রেণির ছাত্রী রেখা খাতুন ওরফে মুসকান। বয়স ১৫ বছর। সাটীতড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল রেখা খাতুন।
মৃত কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় রেখা খাতুন ওরফে মুসকানের। তারপর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে যায় সে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ছয় মাস আগে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটানো হয়। তবে এখানেই শেষ নয় গল্প ঘুরে অন্যদিকে মোড় নেয়! বারবার ফোন আসে ওই তরুণীর কাছে। কিছু গোপন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হত তার কাছে। টাকা না দিলে অশ্লীল ছবিগুলি পরিবারের প্রত্যেকের কাছে পাঠানোর হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। সেই ভয়েই রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে রেখা।
রেখার বাবা আলিজান বলেন “ আমার অল্প বয়সের মেয়েকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে টাকার লোভে ব্লাকমেল করেছে, আমার জীবন থেকে মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে যে শয়তান, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি। যাতে করে এভাবে আর কোনো মেয়েকে বাবার জীবন থেকে চলে যেতে না হয় “
বড়ঞা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ক্রাইম ব্যাঞ্চে যোগাযোগ করা হচ্ছে এর সঙ্গে জড়িত দোষিদের তল্লাসি চলছে।
আরও পড়ুন: