আপনজন ডেস্ক: শীত আসছে। আর শীতকাল মানেই তরকারির সঙ্গে টাটকা ধনে পাতা। মানেই শাক-সবজির সমারোহ। এই সময়ে ডাল, তরকারিতে যদি সামান্য একটু ধনে পাতা দেওয়া হয়, তাহলে রান্নার স্বাদ বেড়ে যায়। অবশ্য এখন সারাবছরই ধনেপাতা পাওয়া যায়। কিন্তু শীতকাল এলে এর স্বাদই বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ধনে পাতার কী গুণ।
ধনেপাতা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি, দেখতেও সুন্দর। তবে ধনেপাতা শুধু খাবারে সুগন্ধই আনে না, এর সঙ্গে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। ধনে গাছ এবং বীজ উভয়ই রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। ধনেপাতার নানা ওষুধি গুণও পাওয়া যায়। যেমন-
১.ধনেপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই সবজি এনজাইমগুলি সক্রিয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রক্তে শর্করাকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে ধনে পাতা।
২. ধনেপাতা পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ পাওয়া যায়। এর সাহায্যে শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর হয় এবং এটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খারাপ কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কমাতেও ধনে পাতা কার্যকর। এই দু'টি নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৩. ধনে পাতা ও ধনে বীজ হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ধনিয়া পানি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। এই কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৪. কিডনি সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে ধনেপাতা কার্যকরী।
৫. ধনে বীজ ও পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায়। ধনের পানি পান করলে চুল মজবুত হয়।
৬. ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, সি এবং এ পাওয়া যায়। যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৭. ধনেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
৮. লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী ধনেপাতা।
৯. ধনেপাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকায় এটি জন্ডিসের মতো লিভারের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
১০. ধনে বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা হজমক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct