বাবলু প্রামাণিক, বারুইপুর: বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঢোকা নিয়ে রোগীর আত্মীয়র সঙ্গে বচসা নিরাপত্তারক্ষীদের। অভিযোগ, একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে রোগীর আত্মীয়র মাথা ফাটিয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনার জেরে বুধবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য রোগীর পরিবার পরিজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মারধোর করা হয় হাসপাতালের এক সাফাই কর্মীকে। ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিস। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে সাফাই কর্মীকে মারধোরের জেরে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ এলে দেখা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুরের পিয়ালির বাসিন্দা বুবাই গায়েনের শিশুকন্যা অসুস্থতার কারনে গত ১১ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এদিন সকালে বুবাই তার স্ত্রীর জন্য ডাবের জল মাকে দিয়ে পাঠাতে যান। সেইমত তার মা আহ্লাদি গায়েন ডাব নিয়ে হাসপাতালের দোতলাতে যেতে চায়। কিন্তু ডাব নিয়ে ভিতরে যেতে আপত্তি জানায় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। এই নিয়েই তাদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় আহ্লাদি গায়েনের। সেইসময় তার ছেলে বুবাই গায়েন ভিতরে ঢুকে কেন মাকে আটকে রাখা হয়েছে জানতে চায়। তাতে গণ্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বুবাই গায়েনকে মারতে মারতে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী। বেধড়ক মারধোর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এক নিরাপত্তারক্ষী গৌতম নস্কর বলেন, ডাব নিয়ে যাওয়াতে বারণ করা হয়। রোগীর আত্মীয় বলে আমরা টাকা নিচ্ছি ঢোকাতে। এর পরেই বচসা বাঁধে। উল্টে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে মারাও হয়। কোন মারধর করা হয়নি। এদিকে, রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর করে টাকা আদায় করে নিরাপত্তারক্ষী, সাফাই কর্মী, আয়ারা। হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার জন্যও টাকা দাবি করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct