এস এম শামসুদ্দিন: কাশ্মীরে ডাল লেকের পাশেই হজরতবাল মসজিদে নবী সা- এর দাড়ি মোবারকের একটা চুল রাখা আছে। সেজন্য এই মসজিদের নাম হয়েছে হারতবাল মসজিদ। বাদশাহ আউরঙ্গজেব তাঁর নিজ হাতে লেখা এই কুরআন শরীফ যাঁর পারসি অনুবাদও রয়েছে। সেটা একটা বড়ো কাঁচের বাক্সে রাখা আছে। কিন্তু অনেকরই কৌতূহল নবী করিম সা.এর দাড়ি মোবারকের একটা চুল কিভাবে এখানে এল ?
শোনা যায় নবী করিম সা এর বংশধরের একজন ব্যবসায়ী সূত্রে কাশ্মীরে আসেন। কাশ্মীরের এক সাধারণ কিন্তু নবী মোহাব্বত কারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আরবের ওই ব্যক্তি কাশ্মীরের এই ব্যক্তির সঙ্গে নবী সা. এর দাড়ির চুল থাকার কথা গল্প করেন। কাশ্মীরের ঐ ভদ্রলোকটি ঐ চুলটি তাঁকে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু আরবের সৈয়দ বংশীয় ব্যবসায়ী তাঁকে চুলটি দিতে অস্বীকার করে। এতে কাশ্মীরী ভদ্রলোকটির মনে খুবই দুঃখ হয়। পরে সৈয়দ বংশীয় ব্যবসায়ীকে নবী সা স্বপ্ন দেখান কাশ্মীরী ভদ্রলোকটিকে চুলটি দিতে বলেন।
কাশ্মীরী ভদ্রলোকটি ঐ চুল পাওয়ার পর তিনি বাদশাহ সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। সেই সময় মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে। বাদশাহ আওরঙ্গজেব শাসন করছেন। কাশ্মীরী ভদ্রলোকটি কোনপ্রকারে বাদশাহের দরবারে গিয়ে বিষয়টি বলেন। কিন্তু বাদশাহ কিভাবে বুঝবেন যে এটা নবী করিম সা এর দাড়ি মোবারক। হজরত পাঞ্জাবের শিরহিন্দ শরীফের মাসুম রাব্বানীর পীরভাই ছিলেন হজরত মোস্তফা মাদানী রহ ও বাদশাহ ঔরঙ্গজেব রহ,বাদশাহ ওরঙ্গজেব বিষয়টি তার পির হজরত মাসুম রোববানী রহ কে বলেন, হজরত মাসুম রোববানী রহ বাদশাহকে একটি আমল ও দুআ বলেন। বাদশাহ সেইমতো আমলের পর বুজতে পারেন যে এটা সত্য। তারপর বাদশাহ ওরঙ্গজেব ঐ মসজিদ গঠন ও চুলের সঙ্গে সঙ্গে নিজ হাতে লেখা পবিত্র কুররান শরীফ দেন এখানে রাখার জন্য ।এই ভাবেই নবী করিম সা এর দাড়ি মোবারকের চুল ও বাদশাহের নিজ হাতে লেখা পবিত্র কুরআন এখানে রাখা হয়। যা আজও সকলের দেখার জন্য খোলা হয়। তবে দাড়ি মোবারকের চুল সেটা শুধুমাত্র নবীদিবসের সময় পর পর চারদিন খোলা থাকে সকলকে দেখানো হয়। কিন্তু পবিত্র কুরআন শরীফ সকলের জন্য সর্বদা খোলা থাকে।
ছবি: লেখক
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct