আপনজন ডেস্ক: বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও প্রাক্তন সাংসদ কবির সুমন বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান নিয়ে লিখেছিলেন, তাকে একদিন “আপনার মমতাময়ী” বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাবুল। আরও বলেছিলেন, ‘আজ তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সশব্দে। তৃণমূলের বড় বড় নেতা তাঁকে বরণ করে নিয়েছেন। আমি তৃণমূলের সমর্থক। সদস্য নই। তৃণমূল দল কাকে টেনে নেবেন সেটা একান্তই তাঁদের ব্যাপার।’ এই ধরনের দলবদলের রাজনীতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কবির সুমন। তাই ফেসবুকে তিনি এ নিয়ে মন্তব্য করলেন, ‘একে বলে রাজনীতি। এই না হলে রাজনীতি। নতুন দল খুললেও এদের পরিবেশেই থাকতে হবে। গা গুলোয় -’। যদিও কবির সুমনের ক্রমবর্ধমান মমন্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও মুখ খোলেননি বাবুল সুপ্রিয়।তবে, এবার ফের সোশ্যাল মিডিয়া বাবুল সুপ্রিয়কে মুসলিম বিদ্বেষী বলে অভিহিত করলেন সুমন। আর তা রাখঢাক না রেখে বাবুল সুপ্রিয়কে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট বলেও উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে আসানসোলের ইমাম ইমদাদুল্লাহ রশিদির কিশোর ছেলেকে হিন্দুত্ববাদীরা খুন করার স্মৃতি ভুলতে পারছেন না কবির সুমন। তাই তিনি প্রশ্ন তোলেন, রশিদি পুত্রের খুনের সময় বিজেপি সাংসদ শ্রীযুক্ত বাবুল সুপ্রিয় তখন কী করছিলেন?
কবির সুমন এ নিয়ে ফেসবুকে কবির সুমন লিখেছেন, ‘আমি রাজনীতির লোক নই। রাজনীতিতে থেকে দেখেছি ওটা আমার জায়গা নয়। তবু, আজ জীবনে প্রথম মনে হচ্ছে একটা দল খুলি। যার ভিত্তি হবে অহিংসা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাংলাবাদ আর সমাজতন্ত্র। আমি ক্রুদ্ধ হইনি। তেমন অবাকও হইনি। শুধু বুঝতে পারছি আমার মতো লোকদের আসলে কোনও জায়গা নেই। কিন্তু আদ্যন্ত শ্রীরামকৃষ্ণবাদী এই আমি মনে করি ছোবল মারব না কিন্তু ফোঁস করব বৈকি।
চেষ্টা করতে হচ্ছে না, এমনিই মনে হচ্ছে আসানসোলের ইমাম রশিদির কিশোর ছেলের কথা যাঁকে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী ফাশিস্টরা খুন করেছিল। বিজেপি সাংসদ শ্রীযুক্ত বাবুল সুপ্রিয় তখন কী করছিলেন।
কিছু না বলে কয়ে ছেড়ে দিতে পারছি না কিছুতেই।
আমি রাজনীতির লোক নই। তাও।
আমার সহনাগরিকরা, দোহাই আপনাদের - ভুলে যাবেন না। ভুলে গেলে অত্যাচারিতরা আবার অত্যাচারিত হবেন।
জয় ইমাম রশিদি
জয় অহিংসা
জয় বাংলা
***
কবীর সুমন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct