আপনজন ডেস্ক: প্রতিদিনকার জীবনে আমরা সবাই একটু-আধটু মিথ্যা কথা বলে থাকি। তবে প্রয়োজন বা বিপদে পড়ে মিথ্যা বলা আর সব সময় সব কাজে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার বিষয় একেবারেই আলাদা।মহিলা-পুরুষ উভয়ই মিথ্যা বলতে পারেন। তবে গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, পুরুষরা কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে থাকেন। নিজেদের নির্দোষ জাহির করতে কিংবা শারীরিক সম্পর্ক গড়তে এমনকি সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেন পুরুষরা। ধরা পড়ার ভয়ে অনেক পুরুষই মিথ্যার আশ্রয় নেন। পুরুষরা যখন তার কোনো ভুল ঢাকতে চায় তখন তারা মিথ্যা কথা বলেন। নানা ধরনের বাহানা বা অজুহাত দেখানোর মাধ্যমে মিথ্যা বলে তারা নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেখায়। অনেক পুরুষই একাধিক মহিলার সঙ্গে গোপনে প্রেম করেন। এমন ক্ষেত্রে ওই পুরুষটি মিথ্যা বলার মাধ্যমেই সব মহিলার সঙ্গে প্রতারণায় আশ্রয় নেন। অতীত সবার জীবনেই থাকে। সে মহিলা হোক বা পুরুষ। তবে কিছু পুরুষ আছেন যারা প্রাক্তনকে নিয়ে বর্তমান সঙ্গীর কাছে মিথ্যা বলেন। সব দোষ প্রাক্তনের উপর দিয়ে তারা নিজেকে সৎ ও অসহায় দাবি করেন। আবার দাম্পত্য জীবনে ঘরের কাজ বা যে কোনো দায়িত্ব এড়াতেও পুরুষরা মিথ্যা বলেন। সংসারের দায়িত্ব নিতে অনেক পুরুষই ভয় পান। এক্ষেত্রে মিথ্যাই তাদের ভরসা। অনেক পুরুষই তার সঙ্গীকে কষ্ট দিতে চান না। এ কারণে মিথ্যা বলে সঙ্গীকে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। যা ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেও অনেক পুরুষ মিথ্যার আশ্রয় নেন। জীবনের কোনো অপ্রিয় সত্য, যা সামনে চলে আসতে পারে এ ভয়ে তারা মিথ্যা বলেন। ছোট থেকে মানুষের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা জন্মায়। তবে কিশোর বয়সে গিয়ে ছেলেরা বেশি মিথ্যা বলে থাকেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য অতিরিক্ত মিথ্যা বলার প্রবণতা কমতে শুরু করে। নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও অনেক সময় পুরুষরা মিথ্যা বলেন। যা কখনও ইতিবাচক আবার নেতিবাচকও হতে পারে। যেমন- কারও মন খারাপ থাকা স্বত্ত্বেও সামনের মানুষটির কাছে তা গোপন রাখছেন ইত্যাদি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct