আপনজন ডেস্ক: সোমবার সকালে শুটিংয়ে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন অবনী লেখারা। এবার বিকালে জ্যাভলিন ছুঁড়ে দেশকে দ্বিতীয় সোনা এনে দিলেন সুমিত আন্তিল। এক বা দু’বার নয়, ফাইনালে তিনবার বিশ্বরেকর্ড ভেঙে প্যারা অলিম্পিকে সোনা জিতলেন সুমিত আন্তিল।
ফোর ফাইনালে ৬৮.৫৫ মিটার ছুড়ে বিশ্বরেকর্ড ও করেন সুমিত। সুমিতের বর্শায় নিজের তৈরি রেকর্ডই তিনবার ভাঙল এদিন। যা নিঃসন্দেহে অভাবনীয়। দুটি সোনা সহ চারটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ নিয়ে ভারতের ঝুলিতে এখন ৭টি প্যারা অলিম্পিক পদক চলে এল। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের প্রাপ্ত পদকের সংখ্যা ছিল ৭।
পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ের এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালেসবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। সপ্তাহখানেক আগে টোকিয়োর যে স্টেডিয়ামে নীরজ চোপড়া সোনা জিতেছিলেন, সেই স্টেডিয়ামে সোমবার ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সোনা জিতে নিলেন সুমিত। এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালের প্রথম থ্রোয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ছোড়েন ৬৬.৯৫ মিটার। সেখানেই অবশ্য থামেননি সুমিত। দ্বিতীয় থ্রোয়ে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। যা মিনিট কয়েক আগে গড়েছিলেন। এবার তাঁর বর্শা অতিক্রম করে ৬৮.০৮ মিটার। তৃতীয় এবং চতুর্থ থ্রোয়ে অবশ্য কিছুটা কম দূরত্ব অতিক্রম করে সুমিতের বর্শা (অবশ্যই সুমিতের নিরিখে)। সেই ‘আক্ষেপ’ যেন ফাইনালের শেষ থ্রোয়ে মিটিয়ে নেন সুমিত। তখন তিনি ৬৮.৫৫ মিটার ছুড়ে আরও একবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙেন।
সুমিত যে প্রথম থ্রো করেছিলেন, সেটাই শেষপর্যন্ত সোনা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। কারণ রুপোজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অ্যাথলিট মাইকাল বুরিয়ান ছুড়েছেন ৬৬.২৯ মিটার। আর ফাইনালে সুমিত সবথেকে কম ৬৫.২৭ মিটার ছুড়েছেন, সেটাও রুপোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
সেই দুরন্ত জয়ের পর সুমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘প্যারালিম্পিক্সে আমাদের অ্যাথলিটরা দারুণ খেলছেন। প্যারালিম্পিক্সে সুমিত আন্তিলের রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সের জন্য পুরো দেশ গর্বিত। সোনার পদক জয়ের জন্য সুমিতকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতের জন্য তোমায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ সুমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct