কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ঢোসা: দক্ষিণ ২৪পরগনার জয়নগর থানার ঢোস বাজারে থাকা ভারসাম্যহীন যুবককে প্রাণে বাঁচালেন চেতনা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সি মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি বিগত ১৫ বছর ধরে ঢোসা বাজারে ঘোরাফেরা করছেন। এই ভারসাম্যহীন যুবক নাম মিজানুর( ডাকনাম ভজু) । ঢোসা বাজারের চাওয়ালার নজরে আসে প্রথমে। জিজ্ঞাসা করলে ভারসাম্যহীন যুবক বলেন একটি মালবাহী গাড়ির মধ্যে এসেছি। তবে নাম ও ঠিকানা ঠিক বলতে পারেননি ভারসাম্যহীন যুবকটি। সেই থেকে রয়ে গেছে ঢোষা বাজারেতে। যত দিন গড়িয়েছে। তত পরিচয় বেড়েছে। ঢোসা বাজার এলাকার মানুষের সাথে এই ভারসাম্যহীন যুবক গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ব্যবসায়িক থেকে শুরু করে গাড়িচালক ও শিক্ষক ও এলাকার বিশিষ্টজনদের সাথে। তবে ভারসাম্যহীন যুবককে। সবাই খুবই ভালোবাসতো। ভালবাসলেও তার পরিচয় হিসেবে নেই কোন দরকারি প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এই সমস্ত দরকারী তথ্য। তবে যে কোন মানুষ তার সাথে যেকোনো মুহূর্তে আপনজন মনে করে জড়িয়ে যেতে পারে। তবে এক নামে চেনে বাজারেই ভারসাম্যহীন যুবক ভজুকে। হঠাৎ দু'চারদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যে কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। তবে ভজুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন চেতনা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষ আনোয়ার মণ্ডল ও চাওয়ালা সাহাদুল শেখ। তাদের সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে ওঠে এই ভারসাম্যহীন যুবক। তবে বিশেষ করে চেতনা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আনোয়ার মন্ডল জানান ।যদি এই ভারসাম্যহীন যুবক ভজুকে? পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারি তবে খুবই ভালো লাগবে। এছাড়া পাশাপাশি বলেন কপালের মধ্যে জরুল অথবা তিল রয়েছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নিশানা বলে জানিয়েছেন। চেতনা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষ। ভজুর বাবা ও মায়ের জন্য এটি বড় নিশানা।তবে ভারসাম্যহীন যুবক ভজু ফিরতে চাইছে তার বাবা- মায়ের কাছে। ভারসাম্যহীন যুবক ভজু জানিয়েছেন। তার নাম ও ঠিকানা। ভজু তার নাম জানিয়েছে মিজানুর। পিতার শায়েদ / মায়ের নাম নুরায়দা বিবি/ ভাইয়ের নাম সানু / দিদির নাম রোজিনা । তবে বর্তমানের চিকিৎসাধীন রয়েছেন চেতনা নার্সিংহোমেতে। ভারসাম্যহীন যুবক ভজু। তবে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। একটি হেল্পলাইন নাম্বার ও দিয়েছেন চেতনা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৯৯৩৩৫০৪৮৭০। তবে ভারসাম্যহীন যুবক তাকিয়ে রয়েছে চাতকের মতন। তার শৈশবের বন্ধুদের সাথে ও তার মায়ের, বাবা কাছে ফিরে যেতে। তবে কি তার স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা বলেন ঢোষা বাজার এলাকার মানুষজন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct