আপনজন ডেস্ক: ত্রিপুরায় বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কিন্তু ত্রিপুরার পরিস্থিতি বলছে, ত্রিপুরার মানুষ বিজেপি সরকারের ভূমিকায় খুশি নয়। সে কথা জানিয়েছেন, সিপিএমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তার আঁচ পাওয়া গেছে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতি সেখানকার মানুষ বিশেষ আগ্রহ দেখানোয়। ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা বেশ নাড়া দিয়েছে ত্রিপুরার মানুষদের। তারপর ময়দানে নামতে সেখানে পাঠানো হয় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের দলকে। কিন্তু তাদেরকে আটকে রেখে আদতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার তৃণমূলকেই মাইলেজ দিয়ে দিয়েছে। তার ফায়দা তুলতে এবার ত্রিপুরা সফর করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগেই অবশ্য পিকে-র দলকে ত্রিপুরায় পাঠিয়ে অভিষেক ঝালিয়ে নিয়েছেন সেখানকার পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার ময়দানে নামতে চলেছেন খোদ অভিষেক। তাই সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ত্রিপুরা যাত্রা শুরু করছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চান। একান্ত অনুগত তৃণমূল সৈনিক হিসেবে সেই কাজের আঞ্জাম দিতে চলেছেন অভিষেক। ত্রিপুরায় এখন বিজেপি বিরোধী স্রোত চলছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার ফায়দা তুলতে চায় তৃণমূল। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় অবস্থান করছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। তাদের হাত ধরে, ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, পান্না দেব, মহম্মদ ইদ্রিশ মিয়া, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্তর মতো হেভিওয়েট নেতারা যোগ দেন তৃণমূলে।
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। আর ২০২৪-এ লোকসভার নির্বাচন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি দখলের স্বপ্ন সফল করতে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছেন। ত্রিপুরার গেরুয়া রংকে এবার ঘাসফুলে রূপান্তরিত করার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছেন অভিষেক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct