সেখ মহম্মদ ইমরান, কেশপুর: প্রকৃতির কাছে অসহায় মানুষ। নিম্নচাপের কারণে গত কয়েক দিন প্রবল বর্ষণে ফলে ডুবে গেল কেশপুর ব্লকের ৪, ৫,১০, ১১ নং অঞ্চলের গ্রাম গুলি । ক্ষতি হল কয়েক হেক্টর চাষের জমি। শুধু চাষের জমিই নয়, মানুষের বাঁচার মাথা গোঁজার আশ্রয় টুকুও নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো আশ্রয় নিয়ে কাছাকাছি স্কুল গুলোতে। পড় বৃষ্টি ও বন্যার জলে মুগবসান গ্রামে বিশাল ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কমবেশি ৩০ টা মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ১০০ টা মাটির বাড়ি। শুক্রবার বন্যার জলে মুগবসানের আজবাহার চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বড় মাটির বাড়ি হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়। বাড়িতে যা কিছু সামগ্রী ছিলো সবই বন্যার জলে ভেসে যায়। ঘর বাড়ি হারিয়ে অসহায় হয়ে যায়।
জানা গেছে, ওই বাড়িতে আজবাহার চৌধুরীর ভাই ইনসান চৌধুরীও একই সঙ্গে থাকতো। এমনিতেই আর্থিক ভাবে দুর্বল ওই পরিবার। তারপর আবার মাথার গোঁজার আশ্রয় টুকু হারিয়ে আজ একেবারে নিঃস্ব। কি করবে ভেবে কুল পাচ্ছে না ওই দুইভাই। তারা বলেন, প্রশাসনে যেন দ্রুততার সঙ্গে আমাদেরকে মানবিক ভাবে দেখেন এবং মাথা গোঁজার আশ্রয় করে দেন। মজিবুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাড়ির মধ্যে ধান ,চাল, থেকে যাবতীয় আসবাবপত্র সব বন্যার জলে ভেসে গেছে। অবশেষে থাকার ঘরটাও ভেঙে যায়। এখন স্কুলে আছি। কোথায় যাবো কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আমার থাকার আশ্রয় টুকু যেন তাড়াতাড়ি তৈরি করে দেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা শনিবার কেশপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৪, ১১ নম্বর অঞ্চলের বন্যা কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এবং তাদের পাশে থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি, কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সামসেদা বেগম সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা এদিন সঙ্গে ছিলেন। শাসক দলের পক্ষ থেকে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct