নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: অনাস্থার চাপানউতোর শেষ অবধি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াল। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিক্ষুব্ধ ১২ জন শাসক দলের অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তলবি সভা না ডাকার অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলেন। তারা অনাস্থা নিয়ে তলবি সভা না ডাকার অভিযোগে ওই সব পঞ্চায়েত সদস্য্য হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও পার্থ দাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন।
মামলাকারীদের পক্ষে তাদের আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল অনাস্থা আনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিডিওর কাছে তলবি সভা ডাকার জন্য আবেদন করেছিলেন্ কিন্তু সেখানে কোনো সদুত্তর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলেন। আগামী সপ্তাহে এর শুনানি হবে।’ এ প্রসঙ্গে ওই পঞ্চায়েতের বিক্ষুব্ধ শাসক দলের সদস্য পিন্টু কুমার যাদবের অভিযোগ, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নজিবুর রহমান পঞ্চায়েতের কাজ কর্ম নিয়ে দুর্নীতি করছেন।
পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করছেন না। আর এই প্রধানের অনমনীয় মনোভাবের পেছনে শাসক দলেরই ব্লক কমিটির নেতাদের সমর্থন রয়েছে। আমরা এই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি প্রায় কুড়ি দিনের উপরে হল।
এ প্রসঙ্গে বিডিও থেকে শুরু করে দলের ব্লক ও জেলা কমিটির নেতাদের জানা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পায়নি। তাই বাধ্য হয়েই সংশ্লিষ্ট সংস্থা উন্নয়ন আধিকারিক-এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলাম।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও পার্থ দাস জানান, হাইকোর্টের মামলার কথাটি শুনেছি। তবে সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া মেনে তলবী সভা ডাকা হবে। প্রধান নজিবুর রহমান বলেন, প্রথম থেকে আমি তৃণমূল করি।আমার বিরুদ্ধে কেউ যদি কাটমানি নেওয়া বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে তো রাজনীতি ছেড়ে দেব।
বরঞ্চ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য এর দুর্নীতিতে প্রশ্রয় না দেওয়াতে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শাসকদলের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ব্লক সভাপতি হযরত আলী জানা,ন মামলার ব্যাপারটি শুনেছি। এ ব্যাপারে দলের উর্দ্ধতন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct