সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি বিধিনিষেধের জেরে সাময়িক বন্ধ ছিল গণ পরিবহন ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ১ জুলাই, বৃহস্পতিবার থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বাস রাস্তায় নামার কথা। কিন্তু এদিন দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো থেকে একাধিক বাস ছাড়লেও শহরের গোবিন্দ নগর বাস স্ট্যাণ্ড থেকে কোন বেসরকারি বাস পথে নামেনি। চরম ভোগান্তিকে সাধারণ মানুষ।
দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার জোন ইনস্পেক্টর দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা রাস্তায় বাস নামিয়েছি। করোনা বিধি মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক যাত্রীর মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে মূলত বেসরকারি বাসের উপর নির্ভরশীল বাঁকুড়া জেলার একটা বড় অংশের গণপরিবহন ব্যবস্থা। ফলে বেসরকারি বাস পথে না নামলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সুকুমার চক্রবর্তী নামে এক যাত্রী বলেন, প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি। কোন বাস চলেনি। পরিবহন মন্ত্রীর বাস চলাচলের ঘোষণা শুনেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। এখন বাস না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হবে বলে তিনি জানান।
এক বেসরকারি বাস মালিক শেখ নরুল আলি আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বলেন , যেভাবে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটছে কিন্তু সেই অর্থে ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে না ফলে বাস চালালে আমাদেরকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন দিতে পারব না। দীর্ঘদিন বেসরকারি বাস বন্ধ থাকায় সমস্যায় বাস শ্রমিকরাও। বাস শ্রমিক লক্ষণ ঘোষ বলেন, ৯২ টাকা লিটার ডিজেল। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। এই অবস্থায় ভর্তুকি দিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাই মালিক পক্ষের অনুমতি না থাকায় তারা বাস চালাননি বলে তারা জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct