আপনজন ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা প্রায় দেখা যায়। এমনকি বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের রক্তের সম্পর্ক সত্বেও তাতে সন্দেহের শেষ থাকে না। আর কর্মস্থলে সহকর্মীদের প্রতি সন্দেহ থাকা তো এখন স্মার্টনেসের পর্যায়ে ভাবা হয়। কিন্তু আশঙ্কার তথ্য হল, এই সন্দেহপ্রবণ মানসিকতা যে কারও দ্রুত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ মনোভাব মানব মস্তিষ্কে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে হার্ট ও প্রেসারের ঝুঁকি অর্থাৎ হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
এক গবেষণায় এমন তথ্যই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। দেশটির প্রায় ২৫ হাজার মানুষের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে— সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু দীর্ঘ হয় না। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যারা অন্য মানুষকে সন্দেহ করেন, তাদের মস্তিষ্কে সবসময় ভুল বা নেতিবাচক চিন্তা ঘুরপাক খায়। ফলে তাদের মনে সেসব চিন্তার প্রভাব পড়ে। তারা প্রায়ই মাথা ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। যে ব্যক্তি তার আশপাশের মানুষকে ক্ষমা ও মূল্যায়ন করতে জানেন, তাদের হৃদযন্ত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকে। কিন্তু যারা অন্যদের সন্দেহ করেন এবং সহজে ক্ষমা করতে চান না, তাদের অকাল মৃত্যুর প্রবণতা দেখা গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজে শরীরে তৈরি হচ্ছে ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি
করোনার সংক্রমণ রোধে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুই ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের ৯৩ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। টিকা নেওয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের পরীক্ষা করে এই ফল পাওয়া গেছে। টিকা নেওয়া ৩০৮ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫ মাস ধরে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণার ফল তুলে ধরে অধ্যাপক সামসুজ্জামান বলেন, 'টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর তারা এক দফা নমুনা সংগ্রহ করেন। তখন ৪১ শতাংশের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।'
দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২ সপ্তাহ পর, কিন্তু ৪ সপ্তাহের মধ্যে আবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৯৩ শতাংশ টিকা গ্রহীতার শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে বলে জানান সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ' এ গবেষণায় যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন, তাদের সবার বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের ৮০ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হল কি না, তা দেখা।' যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা কতদিন কার্যকর থাকবে জানতে চাইলে অধ্যাপক সামসুজ্জামান বলেন, অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct