আপনজন ডেস্ক: সেঞ্চুরি আর থামছেই না একের পর এক রাজ্যে ‘সেঞ্চুরি’ করছে পেট্রলের দর। পশ্চিমবঙ্গেও তা পৌঁছে গিয়েছে ১০০-র কাছাকাছি। আজ, রবিবার কলকাতায় পেট্রলের দর ৯৮ টাকা পার করল। ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে এক লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৮.৩০ টাকায়।
যা শনিবারের চেয়ে ৩৩ পয়সা বেশি। ২৫ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯১.৭৫ টাকা। শনিবারও শহরে দুই পরিবহণ জ্বালানির দর যথাক্রমে ৩৪ পয়সা এবং ৩৫ পয়সা বেড়েছিল।
গত ২ মে পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব মেটার এক দিন পর থেকেই নতুন দৌড় শুরু করে পেট্রল-ডিজেল। মাঝে দু’একদিন করে থামলেও সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ৩১ দিন জ্বালানির দর বাড়াল তেল সংস্থাগুলি।
এই প্রেক্ষিতে তেলের দাম কমানোর জন্য এ বার মাঠে নেমেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা দরবার শুরু করেছে কেন্দ্রের কাছে। গত ৪ জুন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি তাদের বিবৃতিতে পেট্রল-ডিজেলে করের বোঝা কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল। যাতে সেগুলির দাম কমে। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানো যায়। কারণ পাইকারি এবং খুচরো, দুই বাজারেই মূল্যবৃদ্ধির হার এখন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি, বিবৃতিতেই থেমে না-থেকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক এ বার প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে। কেন গাড়ির জ্বালানির দাম কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানো দরকার, তা বোঝানোর চেষ্টা চলছে।
পেট্রল-ডিজেলের উপরে ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার যে কর বসাত, তার একশো ভাগই কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হত। কিন্তু মোদী সরকারের সাত বছর কাটার পরে এখন তারা জ্বালানি দু’টিতে যে কর আদায় করছে, তার ৯৪ থেকে ৯৬ শতাংশই নিজের পকেটে পুরছে। বাকি ২%-৪% রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করছে। কারণ, মোদী সরকার তেলে সেস-সারচার্জ বাড়িয়েছে। যাতে তা রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করতে না হয়।
অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও মনে করছেন, সেঞ্চুরি পার এই দামে রাজনৈতিক ভাবে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গেও অর্থ মন্ত্রকের আলোচনা চলছে। উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার মতে, লকডাউন শিথিলের পরে তেলের বিক্রি বাড়বে। ফলে কর আদায়ও বাড়বে। তখন সরকারের পক্ষে লিটারে ৪.৫০ টাকা মতো সেস ছাঁটাই সম্ভব হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct