নকীব উদ্দিন গাজী, ডায়মন্ডহারবার: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর কবলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা। ইয়াস বিদায় নিতেই বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার। এমনটাই প্রত্তাশা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজের জন্য তাঁর সরকার চলতি বছরে জুন মাসের সাত তারিখ থেকে শুরু হয় কাজ।১৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে দুয়ারে ত্রাণের ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা। ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্যর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের। দক্ষিন সুন্দরবন লাগোয়া ডায়মন্ড হারবার।
হুগলি নদীর নোনা জল গ্রাস করে ডায়মন্ড হারবার একনম্বর ব্লকের কানপুর ধনবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানপুর গ্রামকে। নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় শতাধিক পরিবার। কারোর ভেঙেছে কাঁচাবাড়ি। কারোর নোনাজল তছনছ করেছে সংসারের সামগ্রী। ক্ষতির মুখে পরেছে চাষিরাও। সতেরো তারিখ ফর্ম জমা শেষ হতেই আঠারো তারিখে হাজির সরকারি কর্মীরা। কানপুর ধনবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত ও ডায়মন্ড হারবার বিডিও অফিস থেকে পনেরজন প্রতিনিধি সাতজন করে দল গঠন করে পরিদর্শনে আসেন প্রতিটি বাড়িতে। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। হাতে কলমে তাদের ক্ষতির পরিমাণ সরজমিনে পরিদর্শন করে। নথিভুক্ত করেন সরকারি কর্মীরা। সরকারের আসা ভরসার প্রতি এবারে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন অনেকে। পরিদর্শনে নেই কোন রাজনৈতিক কর্মী বা নেতাদের ছাপ। ফলে সরকারি কর্মীদের প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা রেখেছে সুলতানপুরের ক্ষতিগ্রস্তরা। পরিবর্তন হয়েছে এলাকার হালহকিকত। নোনাজল নেমেছে এলাকা থেকে। আজও অনেকে ইয়াসের জলচ্ছাসের তান্ডবে বাড়ি ফিরতে পারেনি। কেউ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধের উপর। কেউবা আত্মিয় পরিজনের বাড়িতে। যাদের যাবার কোথাও কিছু নেই তারা এখন আশ্রিত সরকারি ত্রান শিবিরে। শুধু ক্ষতিপূরণের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। সুলতানপুর এলাকাটি মৎসচাষের উপর নির্ভর। দিন মজুর পরিবারগুলি সাহায্য ছাড়া আর কিছুই নেই। আমফান তান্ডব আজও মনে করিয়ে দিচ্ছে তাদের। কিন্তু এবারে চিত্রটা একদম আলাদা। না আছে কোন রঙ। না আছে নেতা কর্মীদের কোন দাপা-দাপি। সরকারী কর্মীদের দিয়ে চলছে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি। ফলে আসাই দিন গুনছেন ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct