সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে পানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টির কবলে পড়ে নষ্ট হয়েছে পান পাতা। তার ওপর লকডাউনে বিক্রি নেই পানের। দুই এর কবলে পড়ে ব্যাপক আর্থিক সংকটে পড়েছেন সোনামুখী পৌরশহরের পান চাষীরা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে গোটা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বন্ধ গণপরিবহন ব্যবস্থা। ফলে সোনামুখী পৌর শহরের প্রায় ৫০ জন পান চাষী সমস্যায় পড়েছেন। মূলত তারা বর্ধমানে নিয়ে গিয়ে এই পান বিক্রি করেন কিন্তু বর্তমানে তা আর সম্ভব হচ্ছেনা। সারাবছর পান চাষ করেই কোন মতো সংসার চলে কিন্তু বর্তমানে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে তারা তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি আর্থিক সহযোগিতার দিকে।
মনোহর দত্ত লক্ষীকান্ত দাস নামের পান বরজের মালিকরা বলেন, পানের বেচাকেনা নেই তার ওপর পান পাতা ছিঁড়ে ফেলে দিতে হচ্ছে ফলে আমাদেরকে ব্যাপক আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে। সারাবছর পান চাষ করে কোনরকমে আমাদের সংসার চলে এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি আমাদের একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমাদের ভীষণ উপকৃত হয়।
এ বিষয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান, সোনামুখী পৌর শহরের যে সমস্ত পানচাষিরা রয়েছে তারা এই লকডাউনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করব ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিরা যেন সঠিক ভাবে ক্ষতিপূরণ পান।
সোনামুখী পৌর শহরের পৌর প্রশাসক তপনজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান, তবে আমরা পানচাষীদের সাথে রয়েছি এবং যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct