কুতুবউদ্দিন মোল্লা, কুলতলি: আবারো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলী থানার কুন্দখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কীর্তনখোলা গ্রামে। কবর খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে ফরেনসিকে পাঠালো কুলতলী থানার পুলিশ। ২০০৫ সালে ক্যানিং থানার আমতলা গ্রামের রহিম বক্স মোল্লার বোন মুসলিমা সরদারের সাথে, কুলতলী থানার কীর্তনখোলা গ্রামের হান্নান সরদারের ছেলে তোফারজেল সরদারের বিয়ে হয়। চলছিল প্রায় দু’বছর সুখের সংসার। তারপর সন্দেহ বসে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত সুখের সংসারে।
২২ শে নভেম্বর ২০১৯ সালে বাপের বাড়িতে খবর যায় মুসলিমা সরদার বিষ পান করছে। তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়ির মানুষজন স্থানীয় পদ্মেরহাট হসপিটালে ভর্তি করার পর রিপোর্ট দিয়েছিল ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছে। স্থানান্তরিত করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে, সেখান থেকে রেফার করে কলকাতার কোনো এক হসপিটালে যাওয়ার সময় রাস্তায় মারা যায়। তারপর মুসলিমদের ধর্মীয় আচারবিধি অনুযায়ী কীর্তনখোলা পিয়ালী নদীর পাশে কবরস্থানে দাফন করা হয়। মেয়ের মেজো দাদা রহিম বক্স বিদেশ থেকে ফিরে এসে বোনের মৃত্যুকে কোনো মতে মেনে নিতে পারছিলেন না, তড়িঘড়ি পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে মৃত মুসলিমা সরদারের বাপের বাড়ি পরিবার। এরই মধ্যে কুলতলী থানার পুলিশ মৃত মুসলিমা সরদারের স্বামী তোফারজেল সরদারকে গ্রেফতার করে। রবিবার এই কবর থেকে দেহ উদ্ধার করার সময় হাজির করা হয়েছিল আসামি তোফারজেল সরদারকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবার।
এদিনই কুলতলি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, কুলতলি বিডিও বীরেন্দ্র অধীকারী সহ কুন্দখালি অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার হোসেন মন্ডল ও দুই গ্রামের প্রতিনিধি মোমেন আলি লস্কর, নুরসামা মন্ডল, কীর্তনখোলা মসজিদের ইমাম ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে দেহের হাড় উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। তবে এভাবে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের পাঠানোয় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হযেছে এলাকায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct