আপনজন ডেস্ক: রাজ্যে গত ১৬ মে থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে একপ্রকার ‘লকডাউন’ বা কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে মানুষ সেই বিধি নিষেধ অমান্য করলেও সার্বিকভাবে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে রাজ্যে। আর তাতে ‘কড়া বিধিনিষেধ’ লাগু করার সুফল দেখেছে রাজ্য সরকার। সেই সাফল্যে কথা বুঝিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও প্রায় দু সপ্তাহ করোনা বিধি নিষেধ বৃদ্ধি করার ঘোসণা দিলেন বৃহস্পতিবার। এর আগের করোনা বিধি নিষেধ অনুযায়ী বিধিনিষেধের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। তা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পর এই মর্মে রাজ্যের সর্বত্র নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই বিধি নিষেধ আগের মতোই প্রায় থাকছে। ফলে রাজ্য জুড়ে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি, ফেরি, মেট্রো, লোকাল ট্রেন প্রভৃতি পরিবহণ পরিষেবা। আগের নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই ট্যাক্সি, অটোর মতো যানবাহন রাস্তায় বেরোতে পারবে৷ জরুরি প্রয়োজনে বা জরুরি পরিষেবার কাজে রাস্তায় বেরোলে ই-পাশ সংগ্রহ করতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। দিনের বেলা নানা বিধি-নিষেধের পাশাপাশি রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। করোনা বিধি না মানলে মহামারি আইন অনুযায়ী কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নবান্ন।
যাঁরা আপৎকালীন পরিষেবা বা অনলাইন ডেলিভারির কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ই-পাস-এর জন্য অনলাইনে আবেদন জানাতে হবে। আবেদনকারীর ই-মেলে পাঠানো হবে এই ই-পাস। সেটি নিজের গাড়ির স্ক্রিনে লাগিয়ে রাখতে হবে।
এছাড়া, ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার-হাট, দোকান খোলা থাকবে। পেট্রোল পাম্প, গাড়ি মেরামতির দোকান, মিষ্টির দোকান, ওষুধের দোকান আগের নিয়মেই খোলা থাকবে।
তবে এতদিন পাটশিল্পে ৩০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারতেন। এবার তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী করোনা-বিধি বাধ্যতামূলকভাবে পালন করার কথা বলে এই বিধিনিষেধকে ‘লকডাউন’ বা ‘কার্ফু’ হিসেবে অভিহিত না করার ব্যাপারে সওয়াল করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct