কুতুবউদ্দিন মোল্লা, কুলতলি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ওপর আছড়ে পড়েছিল আম্ফান ২০মে। আইলা, বুলবুল, অথবা আম্ফান-এর মতন ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনকে বারবার তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে। আজও সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষরা ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই করে চলেছে। আবার জাগান দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আম্ফান ঝড়ের ক্ষত শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হচ্ছে ইয়াস নামক এক প্রবল ঝড়। সামনে চলছে করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন আবার আগামী বুধবার ধেয়ে আসছে প্রবল ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের বার্তা পৌঁছে দেন সুন্দরবন বাসির মানুষের কাছে পুলিশ প্রশাসন ও রাজনীতি স্তর থেকে। তাই তৎপর হয়ে এলাকার মৎস্যজীবী এবং নৌকা ও ট্রলার চালকগণ তাদের এই সামগ্রিক জিনিসগুলো মাতলা নদী থেকে ডাঙ্গায় তুলে নিরাপদে স্থানে রেখেছে। কারণ প্রশাসনিক ঘোষণা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তির নৌকা অথবা ট্রলার নদীতে থাকে তাহলে তা বাজে আত্ম হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে সবাই তৎপর হয়েছেন। আবার কোথাও মানুষজন নিজেদের বাড়িঘর বাঁচানোর জন্য নদীর মাটি কেটে উঁচু পাড় তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
যে সমস্ত ব্যক্তিরা মাতলা নদীর উপকূলে বসবাস করছেন তারা কাল থেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপত্তা স্থানে থাকুন বলেন কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল। এছাড়া বলেন কুলতলী গ্রামবাসী পাশে আছি ও থাকবো। বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মন্ডল সেবা প্রতিষ্ঠান এর পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ইয়াস।
এর আগাম সতর্কবার্তা এবং নদী উপকুলবর্তী এরিয়ায় মাটির বাড়িতে বসবাসকারী মানুষজন কে নিয়ে এসে প্রতিটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, প্রাথমিক স্কুল, হাইস্কুল ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য চাল, ডাল, আলু, তেল, মুড়ি, চিড়ে, বিস্কুট, দুধ, ভেলি, মাস্ক ও স্যানিটাইজার পাঠালেন। এমন পরিস্থিতিতে এই ভয়ঙ্কর ঝড়ের দিনে মানুষ দিন গুনছেন কি হতে পারে কুলতলী, ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী, সাগরদ্বীপ, রায়দিঘি, গঙ্গাসাগর পরিস্থিতি এবং সমগ্র সুন্দরবন বাসির মানুষের কথাটা মনে প্রভাব পড়বে তা ভেবে উঠতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। এদিকে আবার পূর্ণিমার কোটাল নদীর জল উপচে পড়ছে। নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুন্দরবন উপকূলে মানুষেরা চিন্তায় রয়েছে কুলতলী বিধায়ক বলেন গনেশ চন্দ্র মন্ডল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct