জয়প্রকাশ কুইরি, পুুরুলিয়া: অতিমারী করোনার দাপটে দেশ জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। অন্যদিকে চলছে লকডাউন। সাধারণ জনতা বর্তমান পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। যার কারণেই অসহায় দুঃস্থ পরিবারগুলো অভাব অনটনের সম্মুখীন হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে সেই সব মানুষজনদের পাশে আবারো এসে দাঁড়ালেন পুরুলিয়ার জয়পুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সৈনিক দিব্যজ্যোতি সিং দেও। করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপের জেরে কড়া লকডাউনেও সেই সব পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েও তিনি কাউকেই ভুলে যাননি। সেই সব মানুষদের পেটে একটু বল দেওয়ার জন্য এবং তাঁদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাঁর রোজগারের টাকা ব্যায় করেই চলেছেন নিয়মিত। তাঁর মুখে সেই অসহায় দুঃস্থ মানুষগুলিই একমাত্র তাঁর কাছে ভগবান। শনিবার জয়পুর বিধানসভার তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক দিব্যজ্যোতি সিং দেও এর উদ্যোগে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রত্যেকটি রোগী সহ তাঁদের সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজনদের হাতে পৌঁছে দিলেন নানান খাদ্য সামগ্রী। পাশাপাশি এদিন সেই এলাকার কয়েকটি দুঃস্থ পরিবারের হাতেও তিনি কিছু কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন বলে জানা যায়।এবিষয়ে দিব্যজ্যোতি বাবু বলেন, আমি দিদির একজন সৈনিক। আজকে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী ও রোগীদের পরিবার সহ এলাকার দুঃস্থ পরিবারদের হাতে আমার সামর্থ মতো কিছু খাবার তুলে দিলাম আট দিনের জন্য। জানা যায় খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো এক কেজি গ্লুকোজ, বাটার বিস্কুট, পাউরুটি, চিড়া, মুড়ি সহ ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন আক্রান্ত রোগীদের হাতে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিতে আমার সঙ্গে জয়পুর ব্লকের তৃণমূলের সৈনিকরাও ছিলেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাত দিন মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তাঁর পথেই আমি হাঁটছি। আমি যতদিন আছি জয়পুর বিধানসভার অসহায় দুঃস্থ পরিবার গুলোকে ততদিন মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখবো। আমি তাঁদের আশীর্বাদ নিতে চাইছি যাতে আরও পরবর্তীদিনে তাঁদের পাশে থাকতে পারি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct