আপনজন ডেস্ক: মিশরের মধ্যস্থতায় ভয়াবহ যুদ্ধের পর অবশেষে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে মিশর।
দীর্ঘ ১১ দির পর দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হল। যুদ্ধবিরতির খবরে ফিলিস্তিনিদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ২০১৪ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। হামাস বলেছে, আল-আকসা ও জেরুসালেমের শেখ জারায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, সিকিউরিটি ক্যাবিনেট সর্বসম্মতভাবে শর্তহীন একটি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মিশরীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে।
আর ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছে। এটি কার্যকর হবে শুক্রবার ভোররাত ২টা থেকে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় বিজয়ের উল্লাস দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা ও ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোতে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে আসে, তারা বিজয়সূচক ‘ভি,’ সংকেত প্রদর্শন করে, পতাকা দোলায়। ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই তারা বিজয়ের গান গাইতে থাকে। ফিলিস্তিনিরা আতশবাজি পুড়িয়ে, ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস করছে।
তিনি বলেন, হাজার হাজার লোক বিজয় উদযাপনের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। গাজায় সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ শিশু এবং ৩৮জন মহিলা আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১৩ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড থেকে হামাসের ব্যাপক হামলার মুখে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর ইসরাইলি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান মিশরকে জানিয়েছে ইসরাইল। এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে মিশর।
এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রিগেভ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট শর্তেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। সে শর্তে তেলআবিব ও জেরুসালেমে হামলা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। গাজা থেকে রকেট হামলার কারণে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে বৃহস্পতিবার। ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে মানবিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করায় বিশ্বের পরাশক্তিগুলো উভয়পক্ষকে যুদ্ধে বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, গাজার ৫০টি স্কুল ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলজীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct