কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: চলছে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রবল ঢেউ। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে।করোনা কে প্রতিহত করতে রাজ্য সরকার আবার ও লকডাউন জারী করেছে। লকডাউনের জেরে গত ৬ মে থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। যদিও রেল দফতর লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু রেখেছে রেলপুলিশ ও রেল কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য।
ষ্টাফ স্পেশালে রেলের কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ উঠতে পারছিলেন না। আর লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যা পড়েছিলেন করোনা যোদ্ধা অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাঁদের যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছিল। এমত অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মীরা যাতে করে ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করতে পারেন,তারজন্য রাজ্য সরকার পূর্বরেল কে অনুরোধ জানিয়েছিল। সেই অনুরোধ কে মান্যতা দিয়ে পূর্বরেল স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল ১০ মে। সেই ছাড়পত্র অনুযায়ী ১২ কামরার ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনের মাঝখানের চারটি কামরা বরাদ্দ করে পূর্বরেল।১১ মে থেকে ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনে দিব্যি যাতায়াত করছিলেন স্বাস্থ্য কর্মী সহ রেলের কর্মচারীরা।অভিযোগ দু-চার দিন পর থেকেই রেল পুলিশের নজর এড়িয়ে অবৈধ্য যাত্রীরা ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করছিল। এমন খবর রেলপুলিশের কাছে আসছিল প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনে অবৈধ যাত্রীদের আনাগোনায় শঙ্কা বাড়িয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। ঘটনার ভয়াবহতা বুঝেই রেলরক্ষী বাহিনী কোমর বেঁধে মাঠে নামেন।অবৈধ যাত্রীদের ঠেকাতে প্রতিটি ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেনে শুরু করে চিরুনী তল্লাশি অভিযান। স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়পত্র দেখেই তবেই ষ্টেশনে কিংবা ট্রেনে চড়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়।রেলরক্ষী বাহিনীর এমন কড়াকড়িতে খুশি স্বাস্থ্যকর্মীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct