আপনজন ডেস্ক: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর যে ভাষায় পশ্চিমবাংলার শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হচ্ছেন তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছিল এ রাজ্যে হযতো এবার তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিম করবেন। সেই আমঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা। রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন ঘনশ্যাম উপাধ্যায় এক আইনজীবী। আর এই জনস্বার্ত মামলায় তার আবেদনের মধ্যে ফুটে উঠল একেবারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সুর।
এ ব্যাপারে বার অ্যান্ড বেঞ্চ ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায় পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা অব্যাহেত থাকার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন পশ্চিমবঙ্গের এই হিংসা পরিস্থিতির কারণে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দেয়। তার পাশাপাশি আদালত যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। তিনি অোরও জানান, এই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ইতিমধ্যেই বাংলায় ১৬ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।
তবে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠলেও এর আগে রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি নেতা ভোটের আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচন করারর দাবি তুলেছিলেন। ভোট পরবর্তী হিংসা এবং সম্প্রতি নারদ কাণ্ডে রাজ্যের ২ মন্ত্রী-সহ ৪ জনের গ্রেফতার ও তার পরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালের মন্তব্যে তারই ইঙ্গিত মিলছিল। সেই সন্ধিক্ষণে সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জমা পড়ল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য।
আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায় তার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। তার দাবি তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বিজেপি সমর্থকরাই বেশি আক্রান্ত। শাসক দলের অত্যাচারের ফলে বাংলার যে অবস্থা তাতে আদালতের কেন হস্তক্ষেপ করা উচিত। ঘনশ্যাম সুপ্রিম কোর্টকে পিটিশনে জানিয়েছেন, ভারতে যেন ‘তালিবান’ শাসিত হয়ে না যায়। তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করারর পাশাপাশি ৩৫৬ ধারার পশ্চিমবঙ্গে জারি করারর সওয়াল করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct