সেখ আনোয়ার হোসেন, হলদিয়া: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘটনার জেরে তুলকালাম কাণ্ড হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে। রোগীর পরিবারের হাতে নিগৃহীত হলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। এই ঘটনায় মৃতের দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর গভীর রাতে এক মহিলাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
অভিযোগ, কর্মরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা সত্ত্বেও নিজে না দেখে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা কিছু সময় পরে চিকিৎসক হঠাৎ রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের এই ঘোষণা রোগীর আত্মীয়রা ক্ষিপ্ত হন। অভিযোগ তারা কর্মরত দুই স্বাস্থ্য কর্মীকে মারধর করেন হাসপাতালের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাচক থানার পুলিশ। প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ থাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া। রোগীর পরিবার দাবি যে অবস্থায় রোগীকে আনা হয়েছিল তাতে সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী বেঁচে যেত। কিন্তু কর্মরত চিকিৎসক এক কর্মীকে নির্দেশ দিয়ে সবকিছু করেছিলেন তার ফলেই রোগীর মৃত্যু ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। কর্মরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন যা অবস্থা তাতে এইচডি তে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসক এইচডি চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জরুরি বিভাগে শয্যা থেকে রোগীকে ট্রলিতে তোলার সময় চিকিৎসা আর একবার পরীক্ষা করেন ।ওই রোগীকে তোলার আগেই চিকিৎসক ঘোষণা করেন রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। এর পরেই রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতাল ভাঙচুর কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করেন চিকিৎসক নার্স জরুরি বিভাগ ছেড়ে অন্যত্র লুকিয়ে পড়েন।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন দুর্গাচক থানায় চিকিৎসক। চিকিৎসকের এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় রোগীর দুই আত্মীয়কে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct